বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের বিক্ষোভ নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
Calcutta High Court issues major directive on protest by unemployed teachers in front of Bikash Bhavan

Truth of Bengal: বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের বিরুদ্ধে কোন কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ, নির্দেশ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। তাছারাও হাইকোর্টের আরও নির্দেশ যে, যোগ্য শিক্ষকরা সেন্ট্রাল পার্কের ধারে তাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে পারবেন। ছেড়ে দিতে হবে ওই মূল রাস্তা। সেন্ট্রাল পার্কের সামনে ২০০ জন একসঙ্গে বসার ব্যবস্থা করবে রাজ্য। পর্যায়ক্রমে ১২ ঘন্টা করে এককালীন ২০০ জন বসতে পারবে ধর্নায়। মাথার উপর অস্থায়ী তাবু এবং জল ও বাথরুমের ব্যবস্থা করবে রাজ্য, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েকজন নেতৃত্বের নাম পুলিশকে দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেসব চাকরিহারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চললেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, আন্দোলনকারীদের জন্য প্রয়োজনে তাবু ,জল ও টয়লেটের ব্যবস্থা করবে রাজ্য। কিন্তু কোনমতেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করা যাবে না। সেন্ট্রাল পার্কের সুইমিং পুল এর দিকে অর্থাৎ বিকাশ ভবনের উল্টোদিকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। এদিন এই মামলার শুনানিতে চাকরি হারাদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন যে, তিনি তাদের প্রতি সমব্যাথী।
এদিন বিচারপতি বলেন, “আপনাদের প্রতি সবাই সহানুভূতি শীল। আপনারা শিক্ষক শিক্ষকের মতোই আচরণ করুন। ১২ ঘণ্টা করে ২০০ জন একসঙ্গে থাকুন যার ফলে বহিরাগত এলে চিনতে পারবেন। একটু আমার অনুরোধ। আপনারা কোন অর্গানাইজ সংগঠন নন একটা পরিস্থিতির সাথে পড়ে একসঙ্গে হয়েছেন। সমাধান সূত্র খুঁজতে হবে।”
বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের বক্তব্য ছিল বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় ২২ জন পুলিশ আহত হয়েছে। তাছাড়াও ওই এলাকায় শুধুমাত্র বিকাশ ভবন নয় রয়েছে আরো সরকারি দপ্তর। ফলে রাস্তার মাঝখানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন করার ফলে চরম অসুবিধায় ভুগছেন সাধারণ যাত্রীরা।