
The Truth of Bengal: ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে বাংলা বারবার জাতীয় স্তরে সেরা হয়েছে। এমএসএমই-র মাধ্যমে রাজ্যে লক্ষ-লক্ষ কর্মসংস্থান হচ্ছে। একদিকে শিল্পতালুক গড়ে ছোট শিল্পদ্যোগীদের উত্পাদনের ভিত গড়া আর অন্যদিকে উত্পাদিত দ্রব্যের বাজার তৈরি করা। এই জোড়া উদ্দেশ্য নিয়েই বাংলার অর্থনীতির বুনিয়াদ শক্ত করা হচ্ছে। সরকারের সেই লক্ষ্যপূরণে জেলার মতোই কলকাতাতেও কেন্দ্রীয় স্তরে হস্তশিল্প মেলার আয়োজন করা হয়েছে। নিউটাউনের ইকো পার্কের পাশে আয়োজিত এই মেলায় ৫০টি প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটিতে রয়েছে প্রায় ৪০টি করে স্টল।
এছাড়াও ইকো পার্কের গেট নম্বর ১ এ খোলা মাঠে আরও ৩০০০ হাজার স্টল রয়েছে। মোট ৭হাজার স্টলে শিল্পী বা কারিগররা নিজেদের পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। ২৩টি জেলার শিল্পীও কারিগররা ক্রেতাদের কাছে নিজেদের পণ্য বেচাকেনা বা তুলে ধরার সুযোগ পান।হস্তশিল্প মেলার মাধ্যমে বাজার চাঙ্গা করার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি ধারাবাহিক পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। আগামীর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে শিল্পীদের ভাতা সহ নানা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান।
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান,রাজ্যে ৯০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। চর্ম শিল্প ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।ডিজিটাল যুগে,ই-কমার্সের গুরুত্ব বাড়ছে। অনলাইনে যাতে কারিগররা তাঁদের তৈরি পণ্য বেচাকেনা করতে পারে সেজন্য প্রশাসনও উদ্যোগ নিচ্ছে।ক্ষুদ্র-ছোট,মাঝারি উদ্যোগ দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ পান্ডা বাড়িতে বসেই কীভাবে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে হাতে তৈরি জিনিস কেনাবেচা করা যাবে তা ব্যাখা করেন। হস্তশিল্প মেলার মাধ্যমে রোজগারের দরজা খোলার নানা ভাবনা শিল্পীসমাজকে উদ্ভাবনী শিল্পে যুক্ত হওয়ার সুবিধা করে দেবে বলে আশা করছেন উদ্যোগীরাও।