বিকাশ ভবনে অভিনব প্রতিবাদ, শিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে হাজির খোদ ‘রবি ঠাকুর’
An innovative protest at the Bikash Bhaban, 'Rabindranath Tagore' himself present to support the teachers' movement.

Truth of Bengal: বিকাশ ভবনের সামনে গতকাল দেখা গেল এক অভিনব প্রতিবাদ। ছদ্মবেশে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ সেজে গোলাপ ফুল হাতে এক আন্দোলনকারী দাঁড়িয়ে পড়েন পুলিশ আধিকারিকদের সামনে। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল শান্তিপূর্ণ বার্তা দেওয়া। কিন্তু পুলিশ সেই ফুল নিতে অস্বীকার করে।
চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে এদিন উপস্থিত হয় কংগ্রেসের আইএনটিইউসি সেবা দল। তারা মিছিল করে বিকাশ ভবনের সামনে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেয়।
বিকাশ ভবনে অভিনব প্রতিবাদ, শিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে হাজির খোদ ‘রবি ঠাকুর’ pic.twitter.com/c9PYWTD4Nm
— TOB DIGITAL (@DigitalTob) May 17, 2025
গত কয়েকদিন ধরেই চাকরি ফেরতের দাবিতে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। কিন্তু বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সকাল থেকে উত্তেজনা বাড়তে থাকে, এবং বিকাশ ভবনের মূল গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে আহত হন একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা।
পুলিশ দাবি করেছে, আন্দোলনকারীদের কারণে বিকাশ ভবনের ভেতরের ৫৫টি অফিসের প্রায় ৫০০-৭০০ কর্মী সাত ঘণ্টা ধরে আটকে ছিলেন। একজন গর্ভবতী মহিলাও আতঙ্কে পড়েন বলে জানানো হয়েছে। বারবার অনুরোধ করেও আন্দোলনকারীরা তাঁদের বেরোতে দেননি, তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে পুলিশ বলপ্রয়োগ করেছে।
এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানান, “গত দশ দিন ধরে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার হঠাৎ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন এবং জানিয়ে দেন, কেউ বেরোতে পারবে না।”
অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা কোনওরকম হিংসাত্মক কাজ করেননি এবং পুলিশের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনার দাবিতে অনড়। তাঁদের মতে, বিভিউ পিটিশনের ভিত্তিতে কোর কমিটির সঙ্গে আলোচনাই একমাত্র সমাধান।
বর্তমানে পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, বাধা সৃষ্টি ও সরকারি কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর গোটা রাজ্য জুড়ে ফের একবার শিক্ষাক্ষেত্রে স্থায়ী নিয়োগ ও ন্যায়বিচারের প্রশ্ন উঠে এসেছে। আন্দোলন আপাতত অব্যাহত, এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে গোটা প্রশাসন।