ধর্মতলা থেকে আটক কতজন? জানালেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়
After Sealdah-Dharmatala, Central Park! Operation Dharpakad by the police

Truth Of Bengal: চাকরিহারা শিক্ষকদের অর্ধনগ্ন মিছিল ঘিরে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে। শিয়ালদা থেকে শুরু করে ধর্মতলা, দুই জায়গাতেই একাধিক আন্দোলনকারীকে আটক করেছে পুলিশ। বিশেষ করে শুক্রবার ব্যস্ত শিয়ালদা চত্বরে দেখা যায় এক আলাদা চিত্র। মিছিল ঘিরে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। শুরু থেকেই ধরপাকড় করতে নামে পুলিশ। ধর্মতলাতেও একই অবস্থা। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান যে গোটা পঞ্চাশ আন্দোলনকারীকে এদিন আটক করা হয়েছে। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে রাজ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এই মিছিল।
সুবিচার না পেয়ে অবশেষে অর্ধনগ্ন মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। সাংবাদিক বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আন্দোলনকারী চিন্ময় মন্ডল। তিনি জানান শুক্রবার, ৩০শে মে, শিয়ালদা থেকে নবান্ন পর্যন্ত অর্ধনগ্ন অবস্থায় মিছিল করবেন শিক্ষকরা। পাশাপাশি, হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরো জানান যে ন্যায্য বিচার কেউ যদি না পান, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদিও পুলিশের তরফ থেকে এই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন শিক্ষকরা বেলা ১১টা নাগাদ শিয়ালদায় জমায়েত করতে শুরু করেন। এরপরই ময়দানে নামে পুলিশ। জোরকদমে শুরু হয় ধরপাকড়। অনেককে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নেয়। একই চিত্র দেখা যায় শহরের ব্যস্ততম এলাকা ধর্মতলাতেও। ডোরিনা ক্রোসিং থেকে বহু শিক্ষককে আটক করা হয়। এখানেই শেষ নয়, আন্দোলনকারীকে ধরতে রীতিমতো শপিং মলে ঢুকে পড়ে পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায়ও দেখা যায় এক চাকরিহারাকে।
বেলার দিকে পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে আসতে এই ধরপাকড় প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের নিজের অবস্থান জানান ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে। আইপিএস বলেন, “গোটা ৫০ চাকরিহারাকে আটক করা হয়েছে শুধুমাত্র ধর্মতলা থেকে। বাকি এলাকায় এই সংখ্যাটা কতো, সেটা আমি বলতে পারবোনা।” আজকের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের একাংশ ধিক্কার জানিয়েছেন। বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে এই সংক্রান্ত একাধিক পোস্ট দেখা গিয়েছে। অধিকাংশই এটিকে পুলিশি বর্বরতার তকমা দিয়েছেন এবং নিন্দা জানিয়েছেন। এবার দেখার বিষয় এই প্রসঙ্গে কি জানায় রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পারবেন তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ বন্ধ করতে? নাকি শিক্ষকরা পাল্টা চাপ বাড়াবে তাঁর? কোনদিকে এগোচ্ছে আন্দোলন? তা বলবে সময়।