‘৮০০০ শিক্ষকের থেকে যে ৮০০ কোটি টাকা…..’, দিলীপের মন্তব্যে শোরগোল, দেখুন ভিডিয়ো
'800 crore taka from 8000 teachers.....', Dilip's comment causes uproar, watch video

Truth Of Bengal: রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে চলমান চাকরিহারা আন্দোলন আবারও উত্তাল। আন্দোলনকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে পুলিশি তলব, রাজনৈতিক নেতাদের পাল্টা বিবৃতি এবং বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিস্ফোরক অভিযোগ—সবটা মিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
রাজ্য রাজনীতিতেও এই আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের সংযমী থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতি আস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
এরই মধ্যে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে শুরু হয়েছে শোরগোল। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “৮০০০ অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগ করে অন্তত ৮০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন মন্ত্রী জড়িত।” পাশাপাশি তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সেই সঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “কসবার ডিআই অফিস ঘেরাওয়ের সময় শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
‘৮০০০ শিক্ষকের থেকে যে ৮০০ কোটি টাকা…..’, দিলীপের মন্তব্যে শোরগোল, দেখুন ভিডিয়ো pic.twitter.com/i5MErcUWKw
— TOB DIGITAL (@DigitalTob) May 20, 2025
বিধাননগর উত্তর থানায় সোমবার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল আন্দোলনকারী ১৫ জন শিক্ষকের। তবে কেউই থানায় যাননি। আন্দোলনের অন্যতম নেতা চিন্ময় মণ্ডল জানিয়েছেন, আইনজীবীর পরামর্শে তাঁরা পুলিশের নোটিশের মোকাবিলা করবেন এবং তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তাঁর অভিযোগ, “পুলিশ আমাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে। ভয় দেখিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দিতে চাইছে। কিন্তু আমরা নিজেদের অধিকারের লড়াই থেকে একচুলও সরব না।”
গত বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির পর থেকেই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন কড়া নজর রাখলেও, আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।
চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা এখন আরও বেশি সংঘবদ্ধ ও মরিয়া। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে স্বচ্ছ ও ন্যায্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হোক এবং তাদের প্রতি সকল রকম অন্যায় আচরণ বন্ধ করা হোক। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘাত এবং রাজনীতিকদের পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের মধ্যে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।