চাকরি
Trending

কিভাবে একটি ইউটিউব ভিডিও কোটি টাকার বেশি আয় করতে সাহায্য করতে পারে,জানেন ?

How a YouTube video ‘helped’ techie earn Rs 1.4 crore throug remote job

The Truth of Bengal: তথ্যের হাইওয়ে তৈরি হয়েছে হাইটেক যুগে। এখন আবার সেই তথ্যের সঙ্গে দৃশ্যের সংযোজন বিশ্বে সাড়া ফেলেছে।ইউটিউব ভিডিও আপলোড করে কেউ কেউ তাই উপার্জনের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে।গত ডিসেম্বরে ব্লুমবার্গের তরফে ইউটিউব ভিডিও পোস্ট করে একটি কথা তুলে ধরা হয় যে, কিভাবে প্রত্যন্ত এলাকার কর্মীরাও গোপনে একাধিক কাজ করে বাজিমাত করছে।আয় শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে।আপনি ভাবতেই পারেন কী করে এত টাকা আয় করা আদৌও সম্ভব। প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে,মাত্র ১বছরে একজন পেশাদার প্রযুক্তিবিদ আয় ডবল করেছেন তার বিবরণ। যেখানে এক বছর আগে  ওই ভিডিও আপলোডকারীর  আয় ছিল ৮৫হাজার ডলার সেখানে একবছরের মাথায় সেই আয় দাঁড়িয়েছে ১লক্ষ ৭০ হাজার ডলার বা ১ কোটি টাকা।

ধরে নেওয়া যাক, সেই স্বপ্নসন্ধানীর নাম অ্যাডাম।যিনি মোটা টাকা ঋণ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।তিনি একবছরে সেই বকেয়া ঋণ মিটিয়ে ম্যাজিক দেখিয়েছেন। আরও জানা গেছে সেই অ্যাডাম একসময় খাবার সাপ্লাই করতেন।আরিজোনায় যখন তিনি   আয় করতেন তখন তিনি তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই অ্যাডাম দিনরাত চিন্তা করতেন কিভাবে আয় দ্বিগুণ করবেন। ফুলটাইম জবের পাশাপাশি পার্ট টাইম জবের সুলুকসন্ধান করতে থাকেন। সেজন্য নানা কলাকৌশল মগজাস্ত্র থেকে শান দেওয়ার চেষ্টাও করতেন। এরমাঝে লিঙ্কডিনের বিজ্ঞাপন দেখে তিনি উত্সাহিত হন।ইউটিউবের মাধ্যমেই আয়ের চেষ্টা করেন।এরপর তড়িঘড়ি আবেদন করে ফেলেন সংশ্লিষ্ট সংস্থায়। উল্কাগতিতে আয়ের  দরজা খুলে যায়।

মাত্র ২ সপ্তাহে ২বার ইন্টারভিউ দিয়েই কামাল করেন তিনি।ইউটিউব ভিডিয়োর সাহায্য নিয়ে যুক্ত হন কাজের জগতের নতুন  ম্যাজিকের সঙ্গে । ডাবল ডিপিং এবং মুনলাইটিংয়ের মতো কাজে হাত পাকিয়ে হাত ভরান কর্মসন্ধানী। মুনলাইটিং নামে হোয়াইট কলার জবে ঘরে বসে আয়ের সংস্থান তৈরি হয়। ভারতের মতো দেশে প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করেও দূর থেকেই প্রযুক্তির সাহায্যে মোটা টাকা আয় করার পথ খুলে যাওয়ায় অ্যাডাম নামের যুবক স্বস্তি পান।ধীরে ধীরে কপালে চিন্তার ভাঁজ মুছে যায়। একদিকে ডাবল ডিপিংয়ের কাজ আর অন্যদিকে মুনলাইটিংয়ের মতো পার্ট টাইম কাজ কার্যতঃ কাঁচা পয়সা জমাতে সাহায্য করে। যা দিয়ে ১লক্ষ ১৮হাজারের ঋণ মকুব করেও স্বচ্ছলতার সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারছেন এই তথ্যপ্রযুক্তির নতুন কর্মী।তাই স্বপ্নপূরণ হওয়ায় এখন অ্যাডাম আনন্দে আত্মহারা।

Related Articles