সময় ঘড়ির জালিয়াতি রুখতে কর্মীদের জন্য ‘আপত্তিকর’ নিয়ম চালু কোম্পানির, অবাক নেটনাগরিকরা
Company lists 5 outrageous rules for employees to stop ‘time clock fraud

The Truth of Bengal: কর্পোরেট কোম্পানিতে সময় ঘড়ি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। কর্মীদের কাছ কাজের জন্য কোম্পানি ঠিকঠাক সময় পাচ্ছে কিনা, তা দেখা হয় এই সময় ঘড়ির মাধ্যমে। কোম্পানির এইচআর বিভাগ সময় ঘড়ি অনুযায়ী কর্মীর যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে। একটি কোম্পানি কর্মীদের জন্য ‘সময় ঘড়ির জালিয়াতি’ বন্ধ করতে ৫টি নিয়ম তালিকাভুক্ত করেছে। যার অন্যতম হল, ‘কাজের আগে বাথরুম ব্যবহার করুন, তাড়াতাড়ি পৌঁছন’। যা আপত্তিকর বলে অভিযোগ উঠছে।
অফিসের জারি করা এই নোটিশ সম্পর্কে এক কর্মীর পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পোস্ট সামনে আসার পর নেটিজেনরা অবাক হয়ে গিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, ‘টাইম ক্লক ফ্রড’ বন্ধ করতে যে নিয়মগুলি অনুসরণ করা উচিত কর্মীদের তা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নোটিশটিতে কর্মচারীদের কাজ শুরু করার আগে বা ১৫ মিনিটের বিরতিতে বাথরুম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
সময় ঘড়ির জালিয়াতি এড়াতে এখানে কী কী বলা হয়েছে নোটিশে—
আপনি কাজ শুরু করার আগে এবং খাবার থেকে ফিরে আসার আগে রেস্টরুম ব্যবহার করুন।
আইকার্ড পাঞ্চ করার আগে আপনার কোট-জ্যাকেট বা অন্যান্য আউটওয়্যারের খুলে ফেলতে ভুলবেন না।
আইকার্ড পাঞ্চ করার আগে ব্যক্তিগত জিনিসগুলি লকারে সুরক্ষিত ভাবে রাখতে ভুলবেন না।
আপনার নির্ধারিত শুরুর সময়ের আগে যে কোনও কেনাকাটা বা অন্যান্য কাজ শেষ করার সময় আছে তা নিশ্চিত করতে তাড়াতাড়ি পৌঁছন।
আইকার্ড পাঞ্চ করা হলে আপনি ঘড়ির কাঁটাতে আছেন
শেষে বলা হয়েছে, যদি ১০ জন কর্মচারী দিনে ১০ মিনিট সময় ঘড়ি জালিয়াতি করেন, তবে এটি দিনে ১০০ মিনিট হয়। এটি মাসে ৩ হাজার মিনিট হয়। যা বেতনের ৫০ ঘণ্টার সমান। তাই ওই কোম্পানির নির্দেশ, সময় জালিয়াতি রুখতে যেন সতর্ক হন কর্মীরা। না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানির নোটিশ সংক্রান্ত এই পোস্টটি ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের মন্তব্যের বন্যা।
এক নেটিজেন লেখেন, উঁচু বিভাগের লোকজন তিন ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি নেন। অন্য এক জন লেখেন, ‘মজার বিষয় হল একটি কোম্পানি যত বেশি হাস্যকর নিয়ম চালু করে। তত কম উত্পাদনশীলতা পায় কর্মীদের কাছ থেকে। আমি জানি না কেন কোম্পানিগুলি তা বোঝে না।