যুদ্ধ হলে দেশকে সমর্থন করবেন? ইসলামাবাদের মসজিদে মৌলানার প্রশ্নে কি বলছে জনতা
Will you support the country in case of war? What are the people saying about the Maulana's question at the Islamabad mosque?

Truth Of Bengal: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান এখন ভারতের প্রতিশোধের আশঙ্কায় আতঙ্কিত। এই হামলাকে ২৬/১১ মুম্বাই হামলার পর ভারতের বেসামরিক জনগণের উপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তানে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা এবং সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে পাক সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক ভিডিও, যেখানে ধর্মীয় নেতারা পাকিস্তানি শাসনব্যবস্থাকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন।
لال مسجد کے مولانا عبدالعزیز غازی کا خطاب سنئیے جس میں وہ کہتے ہیں کہ پاکستان کی لڑائی قومیت کی لڑائی ہے اسلام کی نہیں اور پاکستان میں بھارت سے زیادہ ظلم ہے وغیرہ وغیرہ۔ ریاست کے وہ کارندے غور سے سُنیں جو ان حضرات کی سرپرستی کرتے ہیں اور سیکولر پاکستانیوں کو خطرہ سمجھتے ہیں۔ pic.twitter.com/l9Or4OJWHl
— Husain Haqqani (@husainhaqqani) May 4, 2025
একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে ইসলামাবাদের লাল মসজিদের একজন ধর্মীয় নেতা বলছেন, “পাকিস্তানের লড়াই জাতীয়তার লড়াই, ইসলামের নয়। পাকিস্তানে ভারতের চেয়েও বেশি নির্যাতন চলছে।” এরপর তিনি উপস্থিত জনতার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন—যদি ভারতের সাথে যুদ্ধ হয়, তাহলে তারা কি পাকিস্তানের পাশে থাকবে? কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেউ হাত তুলেনি। এতে বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের সমর্থন কতটা কম।
আরেকটি ভিডিও এসেছে সহিংসতা-প্রবণ খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চল থেকে। সেখানে এক মৌলানা বলেন, “আপনারা পশতুনদের এত ক্ষতি করেছেন—ভাবছেন আমরা আপনাদের পাশে থাকবো? ‘জিন্দাবাদ’ বলবো? আমাদের ভূমিকে আপনারা দখল করেছেন, আমাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন।”
মৌলানার বক্তব্যের সময় উপস্থিত সবাই সম্মতিসূচকভাবে মাথা নাড়ছিলেন। তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি পশতুন পরিবারে শোক। দুই-তিনজন করে সদস্য হারিয়েছে। আপনাদের সেনাদের সন্তানরাও যেন পশতুন শিশুদের মতো কাঁদে।”
কয়েকদিন আগেই খাইবার পাখতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াত এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বড় ধরনের উত্তেজনার ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সেনাবাহিনীর একটি কনভয়কে থানায় প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। এক পুলিশ সদস্য ছাদ থেকে সেনাসদস্যদের দিকে অস্ত্র তাক করে বলছেন, “এখানে আপনারা কী করছেন? আপনাদের জেনারেল এলেও কিছু করতে পারবেন না। এটা লাক্কি মারওয়াত পুলিশ, আমরা কাউকে ভয় পাই না।”
এই ঘটনাগুলি এমন এক সময়ে সামনে এসেছে, যখন পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে। ভারত ইতিমধ্যে পাকিস্তানের নাগরিকদের দেওয়া ভিসা বাতিল করেছে এবং সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনে কথা বলে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানাতে এবং তদন্তে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারত-পাকিস্তানের এই উত্তপ্ত সম্পর্ক কতদূর গড়ায়, তা এখন সময়ই বলে দেবে।