আন্তর্জাতিক

সুন্নি-শিয়াদের সংঘর্ষ পাকিস্তানে, নিহত ১৫০ পার

Sunni-Shia clashes in Pakistan, over 150 dead

Truth of Bengal: পাকিস্তানের সশস্ত্র সুন্নি ও শিয়া দলগুলির মধ্যে লড়াইয়ে অন্তত ১৫০ জন নিহত বেশী এবং ৩২জন আহত হয়েছে। উত্তর পাকিস্তানে সুন্নি ও শিয়া মুসলমানদের মধ্যে সহিংসা সংঘর্ষের পর ৩০০ টিরও বেশি পরিবার তাদের  বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পার্বত্য খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে সাম্প্রদায়িক লড়াইয়ে গত কয়েক মাসে ১৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যার মধ্যে শনিবার সর্বশেষ সংঘর্ষে ৩২ জন আহত হয়েছে। প্রশাসনের অন্য একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সংবাদ আউটলেটকে বলেছেন, “শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় লড়াই চলছে।” শনিবারের সংঘর্ষে নিহত ৩২ জনের মধ্যে ১৪ জন সুন্নি এবং ১৮ জন শিয়া।

শনিবার (১১  নভেম্বর) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলার  একজন সিনিয়র পুলিশ কর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার রাতভর চলা এই হিংসা ছিল কুররাম জেলাকে নাড়িয়ে দেওয়া সর্বশেষ ঘটনা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কুররাম জেলাতেই একটি মারাত্মক বন্দুক হামলায় ৩২ জন নিহত হয়। আফগান সীমান্তের কাছে কুররাম জেলা উপজাতি এলাকা।

কুররাম জেলায় কয়েক দশক ধরে সশস্ত্র সংখ্যালঘু শিয়া ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছে। শিয়া মুসলমানরা সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের ২৪০ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ। যদিও দুই গোষ্ঠী সাধারণত শান্তিপূর্ণভাবে মিলেমিশে থাকে, কিন্তু কুররামে উত্তেজনা রয়েই গিয়েছে। ওই এলাকার ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার রাতে বাগান ও বাচা কোটে সশস্ত্র ব্যক্তিরা দোকান, বাড়িঘর ও সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে।

কুররামের আলিজাই এবং বাগান উপজাতিদের মধ্যেও তীব্র বন্দুকযুদ্ধ চলেছে। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গুরুতর পরিস্থিতির কারণে কুররামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরকে ভারী এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করছে।একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আগুনে একটি বাজার পুড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে গুলির শব্দও শোনা যাচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবারের হামলার স্থানটিতেও সশস্ত্র ব্যক্তিরা অবস্থান করছিল এদিন। গত বৃহস্পতিবারের অতর্কিত বন্দুক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, আততায়ীরা একটি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বাস ও গাড়িতে গুলি ছোড়া শুরু করে।  কেউ ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি এবং পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি।গত জুলাই থেকে এই জেলার সুন্নি এবং শিয়া সম্প্রদায়ের বেশ কয়েক জনকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে কুররামে একটি জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল, যা পরে সাম্প্রদায়িক হিংসায় পরিণত হয়।

Related Articles