আন্তর্জাতিক

প্রাণ বাঁচাতে পালিয়েছে পাক সেনারা! বেলুচিস্তানের এক তৃতীয়াংশ দখল করার দাবি বিএলএ-এর

Pak soldiers are fleeing for their lives! BLA claims to have captured one-third of Balochistan

Truth Of Bengal: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন আরও জোরদার করল বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিস্ফোরক দাবি করল এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা দাবি করেছে, ইতিমধ্যেই বালোচিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ডের দখল নিয়েছে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চৌকি ফেলে পালিয়েছে বলেও দাবি। আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও দখলদারিত্ব কায়েম হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএলএ।

এই দাবি ঘিরে পাকিস্তানের একাধিক অঞ্চলে তৈরি হয়েছে জরুরি পরিস্থিতির মতো অবস্থা। নাগরিকদের ঘর থেকে বের না হতে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

ছয়টি হামলায় কাঁপল মাস্তুং-লাখি, মৃত্যু সেনা-আধিকারিকের

বিএলএ-র তরফে জানানো হয়েছে, মাস্তুং ও লাখি অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের সহযোগী বাহিনীর উপর ছয়টি পৃথক হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় রিমোট কন্ট্রোল আইইডি ও ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। হামলার লক্ষ্য ছিল সেনাবাহিনী, তাদের গুপ্তচর সংস্থা এবং যোগাযোগ টাওয়ার।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে জামরানের ঢাং এলাকায় পাকিস্তানি সেনার বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের (বিডিএস) উপর হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক পাক সেনা অফিসারের। এছাড়াও একাধিক সেনা ঘাঁটিতে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিএলএ, যাতে বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

সেনা চৌকি ও ফ্রন্টিয়ার কোর হেডকোয়ার্টারে হামলা

সূত্র অনুযায়ী, কোয়েটার জঙ্গল বাগ এলাকায় ক্যাপ্টেন সফর খান চেকপোস্টে অজ্ঞাত হামলাকারীরা বিস্ফোরণের পর ব্যাপক গুলিচালনা চালায়। এছাড়া ফ্রন্টিয়ার কোর সদর দপ্তরকেও লক্ষ্য করে হামলা হয়। পাকিস্তানি সেনা একাধিক জায়গায় চাপে পড়ে পিছু হটেছে বলেও খবর।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই জ্বলছে বালোচিস্তান

এদিন রাতেই পাকিস্তান জম্মু, পাঠানকোট, উধমপুর-সহ ভারতের একাধিক সেনাঘাঁটিতে মিসাইল ও ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সফলভাবে সেই হামলা রুখে দেয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারত লাহোর ও করাচি-তে জবাবি হামলা চালায়।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলের নজর এখন বালোচিস্তান সংকটে। বিদ্রোহীরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, পাকিস্তানি দখলদার শক্তিকে কোনও সহায়তা না দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে সীমান্তে।

Related Articles