আমার সন্তান কিনা জানি না, তাও ইনফ্লুয়েন্সারকে ২০ কোটি দেওয়ার দাবি মাস্কের
Musk demands to pay 200 million to influencer even though he doesn't know if it's his child

Truth Of Bengal: পিতৃত্বের গুঞ্জনের মাঝেই সামনে এল এলন মাস্কের বিস্ফোরক দাবি। ‘আমি জানতামই না ওই সন্তান আমার’, এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা টেসলা কর্তার। তবে তিনি এও দাবি করেছেন যে, মার্কিন ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ারকে ওই সন্তানের দেখভালের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় ২০ কোটি (২.৫ মিলিয়ন ডলার) টাকা দিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে ক্লেয়ারকেও বছরে ভারতীয় মুদ্রায় ৪ কোটি টাকা (৫ লক্ষ ডলার) দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনিই ওই সন্তান তাঁর নিজের কিনা তা নিয়ে এখনও সন্দেহে রয়েছেন মাস্ক।
I don’t know if the child is mine or not, but am not against finding out. No court order is needed.
Despite not knowing for sure, I have given Ashley $2.5M and am sending her $500k/year.
— Elon Musk (@elonmusk) March 31, 2025
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্লেয়ারের এক দাবি ঘিরে তুমুল শোরগোল শুরু হয় বিশ্বে। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছিলেন, ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে তিনি এক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, যার বাবা হলেন এলন মাস্ক। তিনি সন্তানের গোপনীয়তার স্বার্থে এই তথ্য গোপন রাখতে চাইলেও সংবাদমাধ্যমের চাপের মুখে পড়ে একপ্রকার বাধ্য হয়ে তা প্রকাশ করলেন। শুধু তাই নয় তিনি এলনের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের আদালতে একটি মামলা রুজু করেন। যেখানে তিনি এককভাবে এই সন্তান পালনের দায়িত্ব নিতে চান বলে আবেদন জানান। আর এর সঙ্গে সন্তানের পিতৃত্ব পরীক্ষার দাবিও করেন অ্যাশলে।
পিতৃত্ব স্বীকার করা দূরে যাক এই ইস্যু নিয়ে এর আগে কোন কথাও বলেননি মাস্ক। তবে সোমবার চাপের মুখে সমাজমাধ্যমে মাস্ক লেখেন, ‘আমি জানি না ওই সন্তান আমার কিনা। তবে ওই সন্তানের পিতা কে তা অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে নই আমি। এই বিষয়ে কোনও আদালতের নির্দেশের প্রয়োজন নেই। কিছু না জানা সত্ত্বেও আমি ক্লেয়ারকে ২.৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছি এবং বছরে আরও ৫ লক্ষ ডলার দিচ্ছি।’
অপরদিকে টেসলা কর্তাকে উদ্দেশ্য করে ক্লেয়ার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পাল্টা লিখেছেন, ‘এলন, এই সন্তান (যার নাম তুমিই রেখেছিলে) জন্মের আগেই আমি তোমায় বলেছিলাম সন্তানের পিতৃত্ব পরীক্ষার জন্য। তা তুমি করোনি। তুমি আমায় টাকা পাঠাচ্ছিলে না। এতদিন তোমার যেটুকু মনে হয়েছে তুমি সেইটুকুই পাঠাচ্ছিলে। আমার উপর কর্তৃত্ব ফলাতে ও আমায় শাস্তি দিতে এতদিন টাকা আটকে রেখেছিলে। আসলে তুমি আমাকে নয়, নিজের সন্তানকেই শাস্তি দিচ্ছ। আমাকে ও আমার সন্তানকে দুর্নাম করতে তুমি সোশাল মিডিয়ায় লাগাতার বিরুপ মন্তব্য করে গিয়েছ। আসলে তুমি অত্যন্ত খারাপ একজন মানুষ।’