ফের ইজরায়েলের হামলা, ধংস-বিধস্ত গাজায় মৃত ৮৫
Israel attacks again, 85 dead in devastated Gaza

Truth Of Bengal: হামাসের ওপর বদলা নিতে প্রতিনিয়ত গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। আর এই হামলার জেরে কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। বৃহস্পতিবার গাজার ভূখণ্ডে ইজরায়েলি হামলায় ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেইসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে গাজায় গোলাবর্ষণের জেরে ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আর তাতেই রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে জানান হয়েছে গাজায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ না পৌঁছলে অনাহারে ৪৮ হাজার মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে গাজার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানান হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যের অভাবে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগজনই মহিলা এবং শিশু। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী এখনো এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ত্রাণ ঠিকভাবে না পৌঁছালে আরও বাড়বে গাজায় মৃত্যুর হার। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শিশুদের কথা মাথায় রেখে আটা, ময়দা, ওষুধ, পুষ্টিকর সামগ্রী সহ ত্রাণ সামগ্রীর ট্রাক গাজায় ঢুকছে বলে সূত্রের খবর। তবে সেগুলো আদৌ কতটা নিরাপদভাবে গাজার শিশুদের কাছে পৌঁছাবে সেটাই এখন মূল দেখার বিষয়।
ইতিমধ্যে গাজায় হামলা বন্ধের জন্য ইজরায়েলের উপর চাপ বেড়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। এই পরিস্থিতিতেও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, হামাস ইতিমধ্যেই টের পেয়েছে আমাদের বাহিনী কত শক্তিশালী। যতদিন অবধি সমস্ত পণবন্দিদের আটকে রাখবে হামাস ঠিক ততদিন পযর্ন্ত আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব। ওদের জন্যই দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গেছে। বলা বাহুল্য, প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বরের হামলার পরেই অভিযান শুরু করেছিল তেল আভিভ।
কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দু’পক্ষ। আর এই যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই গাজার ওপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। লাগাতার ইজরায়েলি সেনার হামলায় ছিন্নভিন্ন জনজীবন। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মহিলা ও শিশুরা। ইউনিসেফের পরিসংখ্যান বলছেন, এই যুদ্ধে গাজায় অন্তত ১৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম ৩৪ হাজার। এবং অন্তত ১০ লক্ষ শিশু ঘরছাড়া।
বড়দের পৃথিবীতে এভাবেই গুলি-বোমার ছোবলে বিপন্ন শৈশব। প্রায় ১১ সপ্তাহ ধরে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল ইজরায়েল। এই মুহূর্তে প্রবেশের অনুমতি মিললেও নেহাতই সামান্য ত্রাণের ক্ষেত্রেই তা মিলছে। আর তাতেই গাজায় বাড়ছে অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা। কবে আবারও পুরানো ছন্দে ফিরবে গাজা সেটাই এখন মূল দেখার বিষয়।