পড়ুয়াদের আন্দোলনের নেপথ্যে “বিদেশি চক্রান্ত’ চলছেঃ হাসিনা সরকারের আশঙ্কা
"Foreign conspiracy" is going on behind the students' movement: Hasina government fears

Truth Of Bengal: বর্তমানে ‘মৃত্যু উপত্যকা’-র রূপ নিয়েছে ওপার বাংলা। মৃতের সংখ্যা পার করেছে একশোর গণ্ডি, আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। পড়ুয়া ও প্রশাসনের সংঘর্ষে জ্বলছে গোটা বাংলাদেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেখ হাসিনার সরকার কার্ফু জারি করেছেন, পাশাপাশি গোটা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছেন, সাথে বন্ধ বাংলাদেশের ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু শাসক শিবির থেকে অভিযোগ উঠছে যে, পড়ুয়াদের আন্দোলনের নেপথ্যে বিএনপি ও জামাতের মতো মৌলবাদী বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র কাজ করছে। শুধু তাই নয় এর সাথে হাত রয়েছে বিদেশি শক্তিরও। কিন্তু এ অভিযোগের সত্যতা আদতে কতটা তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন?
হাসিনা সরকার যেমন ভারত ঘনিষ্ঠ, তেমনই চিনের সঙ্গেও কিন্তু তার ঘনিষ্ঠতাও কিছু কম নয়। চলতি মাসেই বেজিংয়ের থেকে ১ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের আশ্বাস পেয়েছেন হাসিনা। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে দেশের পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা, অর্থনীতি-র জন্য বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করবে চিন। এমনও চুক্তি হয়েছে যে তারা বাংলাদেশের থেকে কৃষিপণ্য কিনবেন। ওপরদিকে ওয়াশিংটনের ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সেনাঘাঁটি বানানো’র আর্জি বাতিল করেছে ঢাকা। স্বাভাবিক ভাবেই যা পছন্দ হয়নি মার্কিনদের।
বিশেষজ্ঞদের একাংশরা বলছেন, যেভাবে পড়ুয়ারা আন্দোলনে নেমেছে তাতে আসলেই কাঠি করছে শাসকবিরোধী দলই। ঢাকায় সরকারি টিভি চ্যানেল বিটিভি-তে আগুন লাগানো থেকে শুরু করে নরসিন্দিতে জেল থেকে কয়েদিদের মুক্ত করার মতো কাজ কখনও শিক্ষার্থীদের কাজ হতে পারে না। ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI বাংলাদেশে জাঁকিয়ে বসতে চাইছে, এমনটাই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এখন যদি ভিতরে ভিতরে CIA-এও হাসিনাকে সরিয়ে নিজের ইচ্ছেমত সরকার বসানোর পরিকল্পনা করে, তাহলেও সেখানে আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু নেই। কারণ সেন্ট মার্টিনের প্রস্তাব নাকচ করার বিষয়টিকে একদমই ভালোভাবে নেয়নি পেন্টাগন। এখন দেখার বিষয় হল, শেখ হাসিনা পড়ুয়াদের আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে নিজের গোদির মেয়াদ বাড়াবেন।