বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দলনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০৫
Death toll rises to 105 in anti-quota protests in Bangladesh

The Truth Of Bengal : কোটা বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ। হিংসার আগুন জ্বলছে সে দেশে। ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগোচ্ছে। ভারতের পড়শি দেশে লাগাতার প্রতিবাদ-আন্দোলনের জেরে আরও উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের থামাতে আরও কড়া পদক্ষেপ শেখ হাসিনা সরকারের। রাজধানী ঢাকার তিনটি হাসপাতালে সব মিলিয়ে ২৪ জন এবং উত্তরাঞ্চলীয় শহর রংপুরে আরও ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও আগে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭৫ জন। দিন যত এগোচ্ছে ততই যেন বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দলনের মৃতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে প্রায় ১০৫। আর আহতের সংখ্যা প্রায় কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে বলে সূত্রের খবর। কোটা বিরোধী বিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে দলে দলে সেখান থেকে বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা যে যার নিজের দেশে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “সরকার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক।”
কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশে অব্যাহত রক্তক্ষরণ pic.twitter.com/oJStcwq4g5
— TOB DIGITAL (@DigitalTob) July 19, 2024
ছাত্র বিক্ষোভের হিংসার জেরে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে বাংলাদেশের বহু ছাত্র ছাত্রীর। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার পুরো দেশে কারফিউ জারি করে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের গণভবনে শুক্রবার রাতে ১৪ দলের এক বৈঠক বসেছিল, সেই বৈঠকে আইনমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে যে জায়গায় বিক্ষোভের সম্ভাবনা বেশি সেখানে সেখানেই সেনা মোতায়েন করা হবে।
প্রায় সপ্তাহ তিনেক ধরে গোটা বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে থাকা কিছুসংখ্যক ভারতীয় পড়ুয়া এর মধ্যেই সীমান্ত দিয়ে কার্যত পালিয়ে এসেছেন দেশে। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশ এখন একটুও নিরাপদ নয়, অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে এগোচ্ছে। তার উপর শুক্রবার থেকে বাংলাদেশ সরকার কারফিউ জারি করেছে। ফিরে আসা পড়ুয়াদের মধ্যে কেউ কেউ হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মেঘালয় ও জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। এমনকি ভুটান এবং নেপালের বহু পড়ুয়াও ভারতে চলে এসেছেন। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে গোটা বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শতাধিক। তবে সরকারের দিক থেকে কিছু জানানো হয়নি। ওদেশে ইন্টারনেট পরিষেবার পাশাপশি বন্ধ রয়েছে ট্রেন পরিষেবাও। কলকাতা থেকে বাতিল করা হয়েছে মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেস। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার গোটা বাংলাদেশ প্রায় অচল হয়ে পড়ে। ওদেশের প্রায় ৪৭টি জেলায় দিনভর হামলা-বিক্ষোভ, অবরোধ, ও সংঘাতের মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। শুধু ঢাকাতেই নিহতের সংখ্যা ১৯, সাথে আহতের সংখ্যা দেড় হাজার কাছাকাছি।