বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ, বন্ধ সম্প্রচার
Bangladesh Television head office attacked-arson

The Truth of Bengal: বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে নাগাদ ঢাকার রামপুরায় এক দল দুষ্কৃতী বাংলাদেশ টেলিভিশন(বিটিভি) কার্যালয়ের মূল দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে এবং ভেতরে থাকা দুটি মাইক্রোবাস সহ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপর বিটিভির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।
হামলার বিষয়ে বিটিভির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সকল কর্মকর্তা–কর্মচারীরা ভবন দূরে চলে যান। সে কারণে বন্ধ হয়ে যায় বিটিভি ভবন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকাল তিনটের পর শতাধিক ব্যক্তি মূল দরজা ভেঙে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তারপর তারা মূল দরজার বাইরে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সহ দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়, এরপরে ভিতরে এসে বিভিন্ন ফুল গাছের টব ছুড়ে ভেঙে দেয়। তখন সমস্ত কর্মচারিরা ভয় পায়।
দুষ্কৃতিদের তৎপরতাই বিটিভি ভবনের সামনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা মালিবাগ মোড়ে গিয়ে তাদের জায়গা ঠিক করেন। তারপর পুলিশেরা কিছুক্ষণ পরপর দুষ্কৃতিদের দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন। সন্ধ্যা প্রায় পৌনে ৬ টার দিকে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা বিটিভি কার্যালয়ের সামনে এসে অভিযান আরম্ভ করে, তারপর সন্ধ্যা ৬টার সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিটিভি কার্যালয়ের ওপর ঘুরতে থাকে। তারপর প্রায় সোয়া ৬টার দিকে র্যা বের একটি হেলিকপ্টারও আসে সেখানে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজেপৌনে ৭টা নাগাদ হামলা বিষয়ক একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়, বিটিভিতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে যা দ্রুত ছড়িয়ে গিয়েছে, ভেতরে অনেক মানুষ আটকে রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত সাহায্য কামনা করছি। ওই দিন দুপুরে আরো এক হামলা হয় রামপুরা ব্রিজের পাশে ট্রাফিকের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে। সেখানে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন দুষ্কৃতীরা। ওই সময় আবারো আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের মুখে একটি পুলিশ ফাঁড়ির দরজায় থাকা তিনটি মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।