আমেরিকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ২ ইজরায়েলি দূতাবাসের কর্মী
2 Israeli embassy workers shot dead in US

Truth Of Bengal: আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হলেন ইজরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মী। জানা গেছে, ওই দুই ব্যক্তি একটি ইহুদি সংগ্রহশালায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফিরছিলেন। সেখান থেকে বেরোনোর সময় উত্তর-পশ্চিম ওয়াশিংটনের থার্ড অ্যান্ড এফ স্ট্রিট এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে তাঁদের গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক জন পুরুষ ও এক জন মহিলার। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা এখন স্পষ্ট নয়। বন্দুকধারীদের খুঁজতে তল্লাশিতে নেমেছে ওয়াশিংটনের পুলিশ। বাসিন্দাদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক জায়গা। কারণ, ঘটনাস্থল থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর ফিল্ড অফিস এবং মার্কিন অ্যাটর্নির দফতর। তাই এই জোড়া খুনকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রবল চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই এই বর্বর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ইজরায়েল। রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজরায়েলের প্রতিনিধি ড্যানি ড্যানন এটিকে ‘ইহুদি-বিরোধী নৃশংসতা’ বলে উল্লেখ করে বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মার্কিন প্রশাসনের প্রতি তাঁদের আস্থা রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে ইজরায়েলি নাগরিকদের সুরক্ষায় তেল আভিভ কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘ এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড নিঃসন্দেহে ইহুদি বিদ্বেষমূলক। এটি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। আমেরিকায় হিংসা ও ঘৃণার কোনও স্থান নেই। নিহতদের পরিবারদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’ হত্যাকাণ্ডের খবরটি প্রথম জানান মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সচিব ক্রিস্টি নোয়েম। এফবিআই প্রধান কাশ পটেলও জানান, তাঁর সংস্থা ইতিমধ্যেই তদন্তে মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রাখছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। এর ফলে বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে নানা সমালোচনার ঝড় উঠলেও তেল আভিভ তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। এই প্রাণহানির নিন্দা করলেও প্রথম থেকেই ইজরায়েলের পাশে রয়েছে আমেরিকা। এমন প্রেক্ষাপটে আমেরিকার মতো ইজরায়েল-সমর্থক দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যা নিয়ে বিশ্ব রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরকদমে আলোচনা।