দেশ

Telangana: অবৈধ লিঙ্গ-নির্ধারণ, তেলেঙ্গানায় জোর করে গর্ভপাতের পর মৃত্যু এক মহিলার

Woman dies after illegal sex-determination, forced abortion in Telangana

The Truth Of Bengal :  অবৈধ লিঙ্গ নির্ধারণের পর তেলেঙ্গানায় এক প্রসূতির গর্ভপাত করানো হয়। গর্ভপাতের সময় মৃত্যু হয় ওই মহিলার। অভিযোগ উঠেছে কন্যা সন্তান ভ্রুন হওয়ার কারণেই ওই মহিলাকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়। এই গর্ভপাত করাতে গিয়েই অকালে মারা যান ওই মহিলা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ওই মহিলার স্বামী সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি তেলেঙ্গানার মাহবুবাবাদের। মূল অভিযুক্তের নাম রত্নাবৎ হরিসিংহ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

ঘটনা বিবরণে জানা গিয়েছে, বাট্টু কৃষ্ণ তার মেয়ে সুহাসিনীকে ২০১৯ সালে রত্নাবৎ হরিসিংয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়েতে নগদ ১০ লক্ষ টাকা পণ হিসাবে দেন। সেই সঙ্গে সোনার গয়না, জমি ও অন্যান্য দান সামগ্রী দেন। দুই কন্যা সন্তান জন্ম দেন তিনি। পরিবার একটি পুত্র সন্তানের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তৃতীয়বার যদি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তাহলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এমনও হুমকি দেয়া হয় ফের বিয়ে করবেন স্বামী। তৃতীয়বার সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর ওই পরিবার তার সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেন। সুহাসিনী রাজি না হলে তার ওপর অত্যাচার চলে। তারপর একপ্রকার বাধ্য করা হয় বাচ্চার লিঙ্গ নির্ধারণ করাতে। এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হয়।

অবৈধ লিঙ্গ-নির্ধারণ পরীক্ষা এবং একটি ভ্রান্ত গর্ভপাতের কারণে গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে অন্যতম মহিলার স্বামী। যিনি তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। একজন ডাক্তারও গ্রেফতার হয়েছেন।

কোদাদের গুরুভাইয়া হাসপাতালে ওই মহিলাকে লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য ভর্তি করানো হয়। সেখানেই লিঙ্গ নির্ধারণ করে ওই মহিলার কন্যা ভ্রুণ রয়েছে বলে চিহ্নিত করা হয়। ভারতীয় আইন অনুযায়ী ভ্রুন পরীক্ষা করা নিষিদ্ধ। অবশ্য এধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ সেখানে হয়ে আসছিল। কন্যা ভ্রুণ নষ্ট করার জন্য গর্ভপাত করাতে চাপ সৃষ্টি করা হয়। গর্ভপাত করানোর জন্য তাকে ভর্তি করা হয় হুজুরের নিউ কমলা হাসপাতালে। গর্ভপাতের জন্য ইনজেকশন এবং কিছু ট্যাবলেট খাওয়ানো হয় সুহাসিনীকে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয় তার। সেখানে গুরুতর অবস্থা হলে হায়দ্রাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। রাজ্য পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Related Articles