সেনার গুলিতে নিহত শীর্ষ লস্কর জঙ্গি আলতাফ লাল্লি
Top Lashkar militant Altaf Lalli killed in army firing

Truth of Bengal: পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার ৭২ ঘন্টা কাটেনি। কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনাবাহিনী। শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের বন্দিপোরায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হল লস্কর-ই-তইবার শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি আলতাফ লাল্লি। সকাল থেকেই বান্দিপোরা জেলায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযান শুরু করে। শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের এনকাউন্টার। আর এই গুলির লড়াইয়ের জেরে নিকেশ হল শীর্ষস্থানীয় লস্কর-ই-তৈবা কমান্ডার আলতাফ লাল্লির। এরপরেই জঙ্গি দমনের জন্য পাল্টা অভিযান শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। এর আগে এই এনকাউন্টারে একজন সন্ত্রাসী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এ সময় দুইজন নিরাপত্তা কর্মীও আহত হন।
পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলাতেয় আরও একটি সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানেও জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান জঙ্গি তৎপরতা রুখতে কেন্দ্র সরকার কড়া অবস্থানে রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করার যে কোনও চেষ্টার কড়া জবাব দেওয়া হবে। এই আবহে এবার খতম হল লস্কর-ই-তইবার শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি আলতাফ লাল্লি। অন্যদিকে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত দুই লস্কর জঙ্গির বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের দক্ষিণাংশে এই বিস্ফোরণের ফলে ধ্বংস হয়ে যায় দুটি বাড়ি। বিধ্বস্ত হওয়া বাড়িগুলোর মালিক আদিল হুসেন ঠোকার ও আসিফ শেখ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দু’জনেই সাম্প্রতিক পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার মূল অভিযুক্ত।
বলা বাহুল্য, পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২২ এপ্রিল। জঙ্গি গুলিতে প্রাণ হারান ২৮ জন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগজনই পর্যটক। সেইসঙ্গে জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। পহেলগাঁওয়ের বৈসরনের এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার সহযোগী সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকেই কাশ্মীর জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি। নিরাপত্তারক্ষা বাহিনীর তরফ থেকে এলাকা এলাকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। কপ্টারের মাধ্যমে চলছে টহল। সেইসঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, ভারত অবশ্যই প্রত্যেক সন্ত্রাসবাদীকে খুঁজে বার করবে। তাদের চিহ্নিত করবে এবং শাস্তি দেবে। শাস্তি দেবে তাদের মদতদাতাদেরও। এরপরেই সন্ত্রাসী দমনে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় সেনা।