সুপ্রিম গাইডলাইন মানার জন্য রাজ্যগুলোকে নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
The Health Ministry has directed the states to follow the Supreme Guidelines

Truth of Bengal: আর জি কর কাণ্ড নিয়ে দেশের নানা অংশের চিকিত্সকরা আন্দোলনে নামেন। চিকিত্সকদের সেই আন্দোলনের মাঝে হিংসাত্মক ঘটনা সামনে আসে। মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান সহ নানা জায়গায় প্রতিবাদ মাত্রা ছাড়ায়।হামলা,ভাঙচুরের মতো ঘটনাও দেখা যায়। সেবিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই মামলা গ্রহণ করে। চিকিত্সকদের আন্দোলন যাতে বেপরোয়া বিশৃঙ্খলা না ছড়ায় না জন্য মনে করিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। সেইমতো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে অবাঞ্চিত ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজিদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্র।
বলা যায়, গত ২২অগাস্ট সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দেয়, কর্মস্থলে চিকিত্সকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিবকে চিকিত্সকের কাজের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মূলতঃ রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে যাতে এই ধরণের ঘটনার পুণরাবৃত্তি না হয় তা দেখতে বলে শীর্ষ আদালত। এনটিএফের নির্দেশ কার্যকর করার পাশাপাশি নূন্যতম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়। এমনকি উদ্ভুত পরিস্থিতি অনুযায়ী, রাজ্য সরকারগুলিকে ২সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল ও হাসপাতালে কর্মরত চিকিত্সকদের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়
১. স্বাস্থ্য কর্মী, চিকিত্সকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী কী কী শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ ডিসপ্লে বোর্ডে তুলে ধরতে হবে।
২. হাসপাতালের নিরাপত্তা কমিটি, হিংসা প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটিতে সিনিয়র ডাক্তার,প্রশাসনের আধিকারিকদের যুক্ত করতে হবে,যাতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত প্রটোকল মেনে চলার কাজটি সুসম্পন্ন হয়।
৩. হাসপাতালের কোন কোন এলাকায় রোগী ও রোগীর পরিজনরা প্রবেশ করতে পারবে আর কোথায় প্রবেশ করতে পারবে না তা জনস্বার্থে তুলে ধরতে হবে। কঠোর ভিজিটর পাস নীতি চালু করতে হবে রোগীর পরিজন থেকে আয়া সবার জন্য।
৪. রেসিডেন্ট ডাক্তার বা নার্সদের রাতে চলাফেরার জায়গায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপ বজায় রাখতে হবে।
৫. আবাসিক চিকিত্সকদের থাকার জায়গায় ও হাসপাতাল চত্বরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. রাতের বেলায় নিয়মমতো নিরাপত্তা নজরদারি ও টহলদারি জারি রাখতে হবে হাসপাতাল চত্বরে
৭, হাসপাতালে ২৪ঘন্টা নিরাপত্তা সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুম চালু করতে হবে
৮.নিকটবর্তী থানার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে
৯.হাসপাতালের ভিতরে যৌন হেনস্থা রুখতে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করতে হবে
১০. হাসপাতাল চত্বরে সিসিটিভি চালু রাখা,নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে।