
The Truth of Bengal: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে যোশীমঠ। গতবছরের জানুয়ারী মাসে ফাঁটল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল জোশীমঠ। আড়াভাবি ভাবে ফাঁটল তৈরি হয়েছিল শহর জুড়ে। দেবভূমি যোশীমঠকে ভূতাত্ত্বিকরা ‘ডুবন্ত’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। ডুবন্ত জোশীমঠকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। যোশীমঠের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে ১০০০টি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে বলে জানানো হয়েছে। আর এই নোটিশ পাওয়ার পর জোশীমঠের বাসিন্দারা কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। চলতি বছরে ভূমিধসের পর ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্তে নেমেছিল ১২টি কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফরের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৫ শতাংশ এলাকাকে হাই রিস্ক জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই অতিঝঁকিপূর্ণ এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের অবিলম্বে সরাতে হবে। যার মধ্যে চারটি পুরসভা এলাকা অবিলম্বে খা। ওই পুরসভা এলাকায় অসংখ্য ঘরবাড়ি রয়েছে। বসতবাড়ির পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভবনও রয়েছে কিছু। এ ছাড়াও রয়েছে দোকানপাট, হোটেল, ও হোমস্টে। এই সব কিছু মিলিয়ে ১০০০টি নির্মাণ অবিলম্বে ভেঙে তার ধ্বংসস্তূপ অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলতে হবে বলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। গত বছর মার্চ মাসে এই রিপোর্ট দেয় কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। এনডিআরএফের দেওয়া রিপোর্ট পুর্নবিবেচনা করা হয় মে মাসে।
তারপরও ৭ মাস কেটে গিয়েছে। তবুও নির্মান কাজ শুরু হয়নি। এদিকে প্রশাসনের তরফে তৎপরতা দেখা গেলেও বাসিন্দারা নিজবাসস্থান ছেড়ে অন্যত্র যেতে রাজি নয়। এই প্রেক্ষাপটে উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, মনোহর বাগ, সুনীল, মারওয়াড়ি এবং সিংহদ্বার— এই চারটি পুরসভা এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অবিলম্বে এলাকা ছাড়তে হবে বাসিন্দাদের। তবে বাসিন্দারা রাজি না হওয়ায় আরও বিপাকে পড়েছে প্রশাসন। তবে দ্রুত রিপোর্ট অনুযায়ী যদি পদক্ষেপ না নেওয়া যায় তাহলে আরও বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে জোশীমঠ এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।