বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ১১টি সংকল্প, যা ভারতের ভবিষ্যতের রোডম্যাপ
Prime Minister's 11 resolutions in Parliament for a developed India, which are the roadmap for India's future

Truth of Bengal: শনিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের ভবিষ্যতের জন্য ১১টি সংকল্প বা প্রস্তাব তুলে ধরেন। দুই দিনের সংবিধান বিতর্কে অংশ নিয়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এক দীর্ঘ বক্তব্যে কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রায় দুই ঘণ্টার বক্তব্যে অভিযোগ করেন যে, কংগ্রেসের নেতারা, বিশেষ করে জওহরলাল নেহরু থেকে রাজীব গান্ধী পর্যন্ত, সংবিধানের ক্ষতি করতে কোনো সুযোগ ছাড়েননি। মোদী বলেন, “সংবিধানের ২৫ বছর পূর্তি হওয়ার সময় সংবিধান ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল, ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারি করে সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এবং দেশকে একটি কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল।”
লোকসভায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই সংবিধান বিতর্কে সরকার এবং বিরোধী দলের সদস্যরা অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী লোকসভায় আলোচনা পর্বের শেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।
একই ধরনের আলোচনা রাজ্যসভায় আগামী ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তবে চলমান শীতকালীন অধিবেশন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, যেখানে বিরোধী INDIA জোট রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের অপসারণের জন্য প্রস্তাব এনেছে।
BIG BREAKING NEWS
PM Modi introduces 11 Resolutions that all Indians should follow –
“Govt and public will perform their dury.
Sabka Sath Sabka Vikas.
Zero tolerance for corruption.
People must be proud of law implementation.
Out of Slavery Mindset.
Removing nepotism in…
— News Arena India (@NewsArenaIndia) December 14, 2024
প্রধানমন্ত্রীর ১১টি সংকল্প
প্রধানমন্ত্রী মোদী সংসদে যে সংকল্পগুলি উপস্থাপন করেছেন তা হলো:
১. সরকার এবং জনগণ—সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
২. “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ”।
৩. দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা।
৪. দেশের আইনকে সম্মান করা এবং তা মেনে চলা।
৫. ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে মুক্তি, ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি গর্ব।
৬. রাজনীতিতে পারিবারিক প্রভাবের অবসান।
৭. সংবিধানের সম্মান—সংবিধানকে রাজনৈতিক স্বার্থে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
৮. সংবিধানের মর্মে, যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের সংরক্ষণ বজায় রাখা হবে; ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ নয়।
৯. নারী নেতৃত্বে উন্নয়ন—ভারতকে বিশ্বে এই ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হতে হবে।
১০. রাষ্ট্রের বিকাশে প্রতিটি অঞ্চলের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।
১১. “এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই নীতিগুলি অনুসরণ করলে ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।”
এই আলোচনা এবং সংকল্পগুলিকে ভারতের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের দিশা হিসেবে দেখা হচ্ছে।