দেশ

ভারতে জনবিস্ফোরণঃ ২০৩৬-এ জনসংখ্যা ১৫২কোটি ছাপিয়ে যাবে, ১২বছরে বাড়বে মহিলাদের সংখ্যা !

Population explosion in India: the population will be 152 million in 2036, the number of women will increase in 12 years

Truth Of Bengal: জনসংখ্যায় চিনকে টেক্কা দিয়ে ভারত আগেই সাড়া ফেলেছে।বিপুল জনসংখ্যা নিয়ে কার্যতঃ দেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সমস্যা হয়ে উঠছে।জনস্ফীতির জন্য আর্থিকও সামাজিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।তবু বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ লাগাম টানতে ব্যর্থ।

একটি রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে,২০৩৬সালে ভারতের জনসংখ্যা ১৫২ কোটি ছাপিয়ে যাবে।রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে স্পষ্ট,ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪৪কোটির বেশি।আশা করা হচ্ছে,আগামী ১২বছরে এই জনসংখ্যা ১৫২কোটি ছাড়িয়ে যাবে।২০১১সালের আদামসুমারি অনুযায়ী,এই জনসংখ্যা ছিল ১২১কোটি টাকা। ৭৭বছরে ভারতের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।

২০১১ সালের পরিসংখ্যান বলছে মহিলাদের হার ছিল শতকরা ৪৮.৫ শতাংশ।বর্তমানে সেই মহিলাদের      হার হতে চলেছে ৪৮.৮ শতাংশ। ২০১১ সালে ১০০০ পুরুষের ক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা ছিল ৯৪৩ জন। ২০৩৬ সালে সেটা বেড়ে দাঁড়াবে ১হাজার জন পিছু ৯৫২ জন নারী। কেন্দ্রীয় রিপোর্টের তথ্য  অনুযায়ী, ২০৩৬সালে ১৫বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা কমতে পারে।বাড়বে ৬০বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা।

পরিসংখ্যান প্রকাশিত  তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী মহিলাদের প্রজনন হার ছিল ১৩৫.৪ শতাংশ, ২০২০ সালে তা কমে হয়েছে ১২০.৬ শতাংশ। ২০১৬ সালে ২৫-২৯ বছরের মহিলাদের প্রজননের হার ছিল ১৬৬.০। ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৯.৬ শতাংশ।

চিন কমিউনিস্ট শাসিত দেশ হওয়ায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ভারত সেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সেভাবে পারছে না। যারজন্য ভারতে জন বিস্ফোরণ দেখা যাচ্ছে।এরমধ্যে ভারত চিনকে পিছনে ফেলে জনসংখ্যায় নেতিবাচক নজির তৈরি করেছে।

সমাজবিদরা বলেন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সহ মানবসম্পদ থাকলে তবেই জনসম্পদ তৈরি হয়।কিন্তু সেই সম্পদ সৃষ্টি ঠিকমতো না হলে জনবিন্যাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিকাশ সম্ভব হয় না।এই অবস্থায়   জনসংখ্যা সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বাড়লে দেশের সম্পদ কাজে লাগতে পারে। তাই জাতীয় স্বার্থে কবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সব দল ঐক্যমত্যে পৌঁছায় সেটাই দেখার।