কোনও ভূখণ্ডই অজেয় নয়, সন্ত্রাসের কড়া জবাব সেনার
No territory is invincible, Army gives strong response to terrorism

Truth Of Bengal :পাক সন্ত্রাসদমনে ভারত পুরোপুরি প্রস্তুত। হিংসার ফেরিওয়ালাদের ঘরে ঢুকে মার দেওয়ার জন্য দ্বিমুখী কৌশল নিচ্ছে দিল্লি।একদিকে ভারতের গোপন ডেরায় হানা দিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার প্রয়াস আর অন্যদিকে সীমান্তের ওপারে অ্যাকশনকে জোরদার করার পূর্ণ প্রস্তুতি শুরু।
এরজন্য স্থলবাহিনীর ভিডিয়োতে ভারতীয় সেনার দুঃসাহিক কিছু অভিযান সামনে এনে সেনাকর্মীদের উদ্দীপিত করা হয়েছে।বায়ুসেনার অপারেশনের ছবিতেও সর্বাত্মক প্রতি আক্রমণের আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে।সেনার তরফে পাক সন্ত্রাসবাদীদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে,অপ্রতিরোধ্য,পরিশ্রমী,নির্ভীক বাহিনী যেকোনও এলাকায় জয় করতে প্রস্তুত রয়েছে।
সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাস দমনের মতোই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে জঙ্গি নিধনও জঙ্গি দমন চলছে জোরকদমে।সিমলা চু্ক্তি বাতিলের পথে যাওয়া পাকিস্তান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শুক্রবার রাতে পাক সেনা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়।পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত।শক্ত প্রতিরোধ আর পাল্টা মারের রণকৌশলে পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করতে ভারতের এখন সাজো সাজো রব। মানবতার বিরোধী জঙ্গিদের জন্মভূমি পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে অপারেশন চালাতে ভারত যখন গর্জন জারি রেখেছ তখন কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় জঙ্গিদের ডেরায় হানা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ভারত যে স্কেচ প্রকাশ করেছে,তাতে ২জন পাকিস্তানি জঙ্গি রয়েছে।করাচি ও মুজাফফরবাদের সেফ হাউজ থেকেই এই অপারেশনের ব্লুপ্রিন্ট রচনা করা হয় বলে গোয়েন্দা সূত্রে আভাস মিলছে। এই তথ্যপ্রমাণ আমেরিকা,রাশিয়া ব্রিটেন সহ অন্যান্য দেশের কাছে পাঠিয়েছে ভারত।
তাই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন টিআরএফ বা দ্য রেসিটেন্স ফ্রন্ট সন্ত্রাসের দায় স্বীকার করেও পাল্টি খেয়েছে।পাক সরকার আবার আন্তর্জাতিক স্তরে মুখ পোড়ায় তৃতীয় শক্তির মধ্যস্থতার বায়না ধরেছে।তবে ইসলামাবাদের কূটনৈতিক দ্বৈত্য যে ক্রমশ ব্যর্থ হচ্ছে,তাঁদের যুক্তি যে দুর্বল হচ্ছে তা ডোনাল্ড ট্রাম্প,পুতিন সহ অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের কড়া মনোভাবে স্পষ্ট।রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য সন্ত্রাসদমনে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ায় দিল্লির হাত যে আরও শক্ত হয়েছে তা বিশ্বরাজনীতি আভাস দিচ্ছে।