দেশ

“আইনের ঊর্ধ্বে নয় কাজি বা শরিয়া আদালত”, স্পষ্ট বার্তা সুপ্রিম কোর্টের

"No Qazi or Sharia court is above the law", clear message from Supreme Court

Truth Of Bengal: দীর্ঘদিন ধরে ভরণপোষণের জন্য লড়াই করছিলেন এক মহিলা। ইসলামি রীতিতে বিয়ে, তারপর বিচ্ছেদ, এবং এরপর শুরু হয় আইনি লড়াই। কিন্তু যখন এলাহাবাদ হাই কোর্ট শরিয়া আদালতের রায় মেনে তাঁর ভরণপোষণের আবেদন খারিজ করে, তখন হতাশ হয়ে তিনি দ্বারস্থ হন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, “কাজি, দারুল, বা শরিয়া আদালত – এদের কোনো আইনি স্বীকৃতি নেই।” বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ জানায়, এই ধরনের আদালতের সিদ্ধান্ত কখনও আইনের চোখে বাধ্যতামূলক নয়।

আদালত স্পষ্ট জানায়, যদি কেউ ইচ্ছায় মানে তাহলে ভিন্ন কথা, তবে সংবিধানের কোনও আইন লঙ্ঘন হলে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

২০০২ সালে মহিলার বিয়ে, ২০০৮ সালে বিচ্ছেদ, এবং ২০০৯ সালে ভরণপোষণের জন্য আবেদন — দীর্ঘ এই পথে শরিয়া আদালতের এক রায় তাঁকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। কারণ শরিয়া আদালতের মতে, তিনি নিজেই বাড়ি ছেড়েছেন, তাই স্বামীকে কিছু দিতে হবে না।

এই যুক্তিকে খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মহিলাকে প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা করে ভরণপোষণ দিতে হবে, আবেদনের দিন থেকেই। এই রায় শুধু এক মহিলার অধিকারকে ফিরিয়ে দিল না, দেশের লক্ষ লক্ষ মহিলার জন্য এক শক্ত বার্তাও দিয়ে গেল — আইনের শাসন সবার জন্য সমান, এবং কোনও বিকল্প আদালত সংবিধানের ঊর্ধ্বে নয়।

Related Articles