সামুদ্রিক ক্ষেত্র থেকে মহাকাশ, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হল একাধিক চুক্তি
Narendra Modi met with Sheikh Hasina

The Truth of Bengal: লুক ইস্ট পলিসিকে মান্যতা দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করল ভারত।শনিবার হায়দরাবাদ হাউসে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে আর্থিক-বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হয় প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্রপথে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর।স্বাক্ষরিত হয়েছে ১০টি চুক্তি।তিস্তা নিয়েও মোদি আশ্বাস দিয়েছেন হাসিনাকে।
ভারত বরাবরই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে চায়। বাংলাদেশ,নেপাল,ভুটান,শ্রীলঙ্কার মতো দেশের সঙ্গে আর্থিকও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়েছে নয়াদিল্লি। লুক ইস্ট বা পুবে তাকাও নীতি মেনে দিল্লি ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কের বাঁধনকে আরও শক্ত করল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার দুদিনের সফরে এদেশে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।এরপর হায়দরাবাদ হাউসে দুদেশের রাষ্ট্রপ্রধান বৈঠকে মিলিত হন। সেই বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ১০টি চুক্তি। যারমধ্যে অন্যতম হল প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্রপথে সহযোগিতা বৃদ্ধির মতো বিষয়। উল্লেখ্য,প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্র এলাকায় চিনের দাদাগিরি কিছুতেই মানতে নারাজ নয়াদিল্লি। এবিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতা ঐক্যমত্যে পৌঁছেছেন। তাই প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়িয়ে কার্যতঃ ভারত যে চিনকে কূটনৈতিক স্তরে চাপে রাখার চেষ্টা করল,সেবিষয়ে নিশ্চিত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।
শুধু প্রশান্ত মহাসাগরে সহযোগিতা বাড়ানোই নয়,তথ্যপ্রযু্ক্তি,পরমাণু, মহাকাশ গবেষণা,রেল সহ একাধিক বিষয়ে দুদেশ পারস্পরিক লেনদেন বৃদ্ধির ওপর এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু ব্যবহার করার নীতি নিয়েছে দিল্লি।সেজন্য পাকিস্তানকেও এদেশ বারবার বার্তা দিয়েছে নো ফার্স্ট ইউজ অব নিউক্লিয়ার পাওয়ার।আর ইসলামাবাদের মতোই ঢাকার সঙ্গেও শা্ন্তিপূর্ণ সহবস্থানের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার ট্রাডিশন যে ভারত বজায় রাখতে চায় তা আরও একবার প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করলেন বলা যায়।ভারতের এই ভূমিকায় খুশি বাংলাদেশ।ভারতকে বিশ্বস্ত বন্ধু বলে সম্বোধন করে শেখ হাসিনা বুঝিয়ে দেন,চিন নয়,ভারতই তাঁদের কাছে স্বাভাবিক মিত্র। দুদিনের সফর শেষ করে শেখ হাসিনার ঢাকা ফিরে যাওয়ার কথা।কূটনৈতিক স্তরে ভারত-বাংলাদেশের এই ১০টি চুক্তি একটি মাইলস্টোন হয়ে থাকবে বলে আশা দুদেশের বিদেশ দফতরের আধিকারিকদের।