
Truth Of Bengal : ২৪ দিনের যুদ্ধ শেষ। প্রয়াত হলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। প্রয়াত কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। সঙ্কটজনক অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন দিল্লির এইমস হাসপাতালে। দলের তরফে মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে ‘রেসপিরেটরি সাপোর্টে’ রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের একটি দল ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। গত সপ্তাহ ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলে চাউর হয়েছিল। যদিও সেই সময়ে সিপিএমের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল ইয়েচুরি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এরপর মঙ্গলবার সকালে দলের বিবৃতিতে জানানো হয় ইয়েচুরির অবস্থা অতি সঙ্কটজনক।
Veteran CPI(M) leader Sitaram Yechury dies at 72 after prolonged illness: Party and hospital sources
— Press Trust of India (@PTI_News) September 12, 2024
গত ১৯ অগস্ট শ্বাসযন্ত্রে গুরুতর সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ভর্তি করানো হয়েছিল দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এ। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে গত ২০ আগস্ট থেকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ইয়েচুরি। তার আগে তাঁর চোখের ছানি অপারেশন হয়েছিল। তারপর থেকে কখনও একটু উন্নতি হয় আবার অবনতি হতে থাকে। গত ২২ আগস্ট প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভাতেও কলকাতায় হাজির থাকতে চেয়েও আসতে পারেননি। একটি ভিডিয়োবার্তা পাঠিয়েছিলেন।
১৯৫২ সালের ১২ আগস্ট চেন্নাইতে জন্ম সীতারাম ইয়েচুরির। পৈত্রিক বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদে। স্কুলশিক্ষা প্রথমে সেখানেই। তেলুগু পরিবারে জন্মানো সীতারামের আদি বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ায়। বাবা সর্বেশ্বরা ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের রোড ট্রান্সপোর্টের ইঞ্জিনিয়র। হায়দরাবাদে বেড়ে ওঠা সীতারাম ইয়েচুরি পরবর্তীকালে উচ্চশিক্ষার জন্য আসেন দিল্লিতে। রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুরু হয় তখন থেকে। দিল্লিতে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের অর্থনীতিতে স্নাতক হওয়া সীতারাম ইয়েচুরি জেএনইউ-তে একই বিষয়ে স্নাতোকোত্তর করেন। দুটি ক্ষেত্রেই তিনি ‘ফার্স্ট ক্লাস’ নিয়ে পাশ করেন। পরবর্তীকালে জেএনইউতে অর্থনীতি নিয়ে তিনি পিএইচডি করেন। অত্যন্ত শিক্ষিত এই মানুষটি দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে খুব পছন্দের ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে স্বাভাবিক ভাবেই শোকের ছাড়া নেমে এসেছে সব মহলে।