শুরু কেদারনাথ যাত্রা, প্রথমদিনেই নজরকাড়া ভিড়
Kedarnath Yatra begins, eye-catching crowd on the first day

Truth Of Bengal: মহাদেবের দ্বাদশ জ্যোতিলিঙ্গের মধ্যে অন্যতম হল কেদারনাথ ধাম। বছরের মধ্যে ছয় মাস এই মন্দির ভক্তদের জন্য খোলা এবং বন্ধ থাকে। শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে খুলেছে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হল পবিত্র মন্দির খোলার যাবতীয় রীতি-নীতি। শীতে তুষারপাত, বরফ ঝড়ের কারণে ৩ নভেম্বর বন্ধ হয়েছিল কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। বলা বাহুল্য দরজা খোলার আগে, বাবা কেদারনাথের পবিত্র পালকি বের করা হয়।
২৭শে এপ্রিল উখিমঠে অবস্থিত ওঁকারেশ্বর মন্দিরে ভৈরবনাথ জির পূজার মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। এর পরে, বাবা কেদারের পালকি কেদারনাথ ধামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাবা কেদারের পালকি ২৮শে এপ্রিল গুপ্তকাশিতে পৌঁছায়। পালকিটি ২৯ এপ্রিল ফাটা এবং ৩০ এপ্রিল গৌরীকুণ্ডে পৌঁছায়। বাবা কেদারের পালকি ১ মে কেদারনাথে পৌঁছায়। শুক্রবার ২ মে সকাল ৭টায়, মন্ত্র জপ ও পূজার পর, কেদারনাথ মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ৩০ এপ্রিল অর্থাৎ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা। তবে সে দিন শুধু খুলেছে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের দরজা। এরপর ২ মে খুলল কেদারনাথ মন্দির এবং বদ্রীনাথ মন্দির খুলবে আগামী ৪ মে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক কেদারনাথ ধাম যাত্রা করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। ইতিমধ্যেই কেদারনাথে পৌঁছেছেন অনেক ভক্ত। যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং যাত্রা শুরুর আগে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এবছর দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে টোকেন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সেই টোকেনের লাইনে ভিড় জমাচ্ছেন আগতরা।
উল্লেখ্য, মহাদেবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম হল কেদারনাথ ধাম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৮৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত কেদারনাথ মন্দিরের চারপাশে বরফে ঢাকা পর্বতশ্রেণী। পুরাণ অনুসারে পাণ্ডবরা এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরে মন্দিরটির পুনরুদ্ধার করেন আদি শংকরাচার্য। শীতকালে মন্দির বন্ধ হওয়ার সময় শিবলিঙ্গকে নীচে উখিমঠের ওমকারেশ্বর মন্দিরে নামিয়ে আনা হয়। সেখানেই ছয় মাস কেদারনাথের আরাধনা করা হয়। ২ মে বিশেষ পুজোর পর সকাল ৭টায় খুলে দেওয়া হয় কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। রীতি অনুসারে, ভক্তরা আনন্দের সঙ্গে জয় বাবা কেদারনাথ স্তুতি করেন। দরজা খোলার সময় ঢোল এবং তূরী বাজানো হয়। এর পরে, ভক্তদের বাবা কেদারনাথের দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হয়।