দেশ

মহাকাশে অগ্নিবাণ, সফল উৎক্ষেপণকে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে মাইলফলক বলে বর্ণনা ইসরোর

ISRO described the successful launch as a milestone in space research

The Truth Of Bengal, Mou Basu : মহাকাশ বিজ্ঞানে ফের ইতিহাস গড়ল ভারত। গোটা বিশ্ব যা পারেনি তা করে দেখাল আইআইটি মাদ্রাজের স্টার্টআপ অগ্নিকুল। তারাই মহাকাশে এদিন ছুঁড়ে দিল অগ্নিবাণ। তৈরি করল নয়া ইতিহাস। বৃহস্পতিবার নিজের প্রথম রকেট অগ্নিবাণ-এর সফল পরীক্ষা করেছে স্পেস স্টার্টআপ অগ্নিকুল কসমস। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) চেন্নাই-ভিত্তিক মহাকাশ স্টার্ট-আপ অগ্নিকুল কসমসকে তাদের এই সফল পরীক্ষার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। ইসরো এই উৎক্ষেপণকে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক বলে বর্ণনা করেছে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার (SDSC SHAR) থেকে অগ্নিবাণ রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে অগ্নিকুল কসমস। মঙ্গলবার রকেটটি পরীক্ষা করার কথা থাকলেও উৎক্ষেপণের মাত্র ৫ সেকেন্ড আগে প্রযুক্তিগত কারণে উৎক্ষেপণ স্থগিত করে দেওয়া হয়।
অগ্নিবাণ হল বিশ্বের প্রথম সিঙ্গল পিস থ্রিডি প্রিন্টেড সেমি ক্রায়োজেনিক রকেট। অগ্নিকুল কসমসের এই রকেটটি হল সিঙ্গল স্টেজের রকেট। এর ইঞ্জিন সম্পূর্ণ থ্রিডি প্রিন্টেড। এটি একটি সেমি-ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন, যা ৬ কিলোনিউটন শক্তি উৎপন্ন করে। ইসরো এই রকেট উৎক্ষেপণে বিভিন্ন রকম ভাবে সাহায্য করেছে। শ্রীহরিকোটায় একটি ছোট লঞ্চ প্যাড তৈরি করেছে ইসরো। যা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত।
অগ্নিবাণ ৩০০ কেজি পেলোড নিয়ে মহাকাশে পৌঁছে যেতে পারে। মহাকাশের ৭০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত তার অবাধ গতি। এমন এক রকেট এর আগে বিশ্বের কোনও দেশ তৈরি করতে পারেনি যার জ্বালানি হল তরল অক্সিজেন ও কেরোসিন। এটা মহাকাশ বিজ্ঞানে এক নয়া দিগন্ত উন্মোচিত করল। এই রকেটটি যে লঞ্চপ্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে সেটাও একটা ইতিহাস। এই প্রথম বেসরকারিভাবে তৈরি করা কোনও লঞ্চপ্যাড থেকে দেশের কোনও রকেট মহাকাশে পাড়ি দিল।

Related Articles