ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে চিড়, ডব্লিউটিও-তে ভারতের নোটিস খারিজ
India-US trade rift, India's notice at WTO dismissed

Truth Of Bengal: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে কি ফের চিড় ধরতে চলেছে? সূত্রের খবর, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর আমেরিকা শুল্ক চাপানোর পরেই ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের কাছে নোটিস পাঠিয়েছিল ভারত। সেই নোটিসে বলা হয়েছিল, বাণিজ্যক্ষেত্রে আমেরিকাকে যেসব সু্যোগ-সুবিধা দেয় ডব্লিউটিও, সেগুলি বন্ধ করতে হবে। তবে ভারতের এই নোটিস খারিজ করে দিয়েছে আমেরিকা।
গত ৯ মে ডব্লিউটিও-কে নোটিস দিয়েছিল ভারত। সমস্যা সমাধান না হলে নোটিস দেওয়ার একমাসের মধ্যে আমেরিকার সুযোগসুবিধা ছাঁটাই করতে হবে, জানানো হয় ভারতের তরফে। সেই সময়সীমা পেরনোর আগেই ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এবং তারপরেই ভারতের নোটিসও খারিজ করে দেয় আমেরিকা। ওয়াশিংটনের মতে, বহুদেশীয় বাণিজ্য সংক্রান্ত যা নিয়ম রয়েছে, ভারতের নোটিস সেগুলির বিরোধী। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সমস্ত রকম আলোচনাও খারিজ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন।
নোটিস খারিজ নিয়ে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে সূত্রের খবর, আমেরিকা নোটিস খারিজের পর এবার পালটা কর চাপানোর কথা ভাবছে ভারত। ইতিমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ভারত-আমেরিকা আলোচনা চলছে। চলতি সপ্তাহেই এই নিয়ে কথা বলতে ভারতে আসতে পারেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। সেই সময়েই ভারতের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হবে, ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর আমেরিকা যেন শুল্ক কমায়। তা না হলে বাদাম সহ আমেরিকা থেকে আমদানি করা একাধিক পণ্যের উপর শুল্ক বাড়াবে ভারত। প্রসঙ্গত, দিল্লি যে অ্যালুমিনিয়াম রফতানি করে তার প্রায় ১২ শতাংশ যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এই অতিরিক্ত শুল্কের জেরে স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন কোম্পানিগুলো আর ভারতের থেকে চড়া দামে পণ্য কিনতে চাইবে না। ধাক্কা খাবে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য। আর এই সুযোগে আমেরিকার বাজার ছেয়ে যাবে সস্তার চিনা অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতে।