যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপের পথে ভারত! WTO-তে জানাল সিদ্ধান্ত
India on verge of imposing counter-tariffs against US! WTO announces decision

Truth Of Bengal: স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সুরক্ষামূলক শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা ব্যবস্থা নিতে চলেছে ভারত। সোমবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-কে ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা মার্কিন পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
🚨India proposed to impose retaliatory duties under the WTO norms against the US over American tariffs on steel and aluminium in the name of safeguard measures.#Tariffs #TrumpTariffs #DonaldTrump #US pic.twitter.com/Jk8TpLX9ZE
— Moneycontrol (@moneycontrolcom) May 13, 2025
WTO-র কাছে জমা দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক নোটিশে ভারত বলেছে, মার্কিন এই সুরক্ষামূলক শুল্কের কারণে ভারতের উৎপাদিত প্রাসঙ্গিক পণ্যের আমদানিতে প্রতিবছর ৭.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হতে পারে। এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১.৯১ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আদায় করছে।
ভারতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা নির্দিষ্ট পণ্যের উপর সমমূল্যের শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে। এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের ঘোষণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আবারও স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর সুরক্ষামূলক শুল্ক আরোপ করে, যা ২০২৫ সালের ১২ মার্চ থেকে কার্যকর হবে, এর মেয়াদ থাকবে অনির্দিষ্টকাল।
ভারতের মতে, এই শুল্কগুলো WTO-র GATT 1994 এবং সেফগার্ড চুক্তির পরিপন্থী। যদিও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তাদের এই সিদ্ধান্ত ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ নেওয়া হয়েছে, এবং এটি সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নয়।
২০১৮ সালে প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন ২৫% স্টিল ও ১০% অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক আরোপ করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত ২০১৯ সালে আমন্ড, আখরোট-সহ ২৮টি মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক চাপায় এবং WTO-তে অভিযোগ করে।
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (BTA) নিয়ে আলোচনা চলছে। এ প্রেক্ষাপটে ভারতের এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ সপ্তাহেই বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে চলেছে।
ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, WTO-র বাণিজ্য পণ্য পরিষদ ও সেফগার্ড কমিটিকে তারা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সময়মতো অবহিত করবে। প্রয়োজনে এই নোটিশ প্রত্যাহার, সংশোধন বা পুনরায় জারি করার অধিকারও ভারত সংরক্ষণ করছে।