
Truth Of Bengal: ভারত বর্তমানে বিশ্বের ডায়াবেটিস রাজধানী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ICMR-INDAB-এর এক গবেষণা জানিয়েছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার ১১% মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৫.৩% প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থায় রয়েছে। প্রি-ডায়াবেটিসের এই হার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা একটি অশনি সংকেত বহন করছে।
প্রি-ডায়াবেটিস: অবহেলার ফল হতে পারে গুরুতর
প্রি-ডায়াবেটিস এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ক্রমশ কমে যেতে থাকে। এ অবস্থায় সচেতনতা তৈরি না করলে আগামী দশ বছরে ৭০% প্রি-ডায়াবেটিস রোগী টাইপ ২ ডায়াবেটিসে পরিণত হতে পারে। ডা. প্রবীণ রামচন্দ্র, স্পার্শ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট, বলেন, “প্রি-ডায়াবেটিস নীরব এবং প্রায়শই লক্ষণহীন। রক্তের সুগার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলেও ডায়াবেটিস পর্যায়ে না পৌঁছানো অবস্থায় এটি নির্ধারিত হয়। সঠিক জীবনযাপন মেনে চললে এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব।”
প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ কী?
প্রি-ডায়াবেটিস প্রায়ই লক্ষণহীন হলেও কিছু সংকেত লক্ষ্য করা যেতে পারে, যেমন অতিরিক্ত তেষ্টা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্লান্তি, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসা, অপ্রত্যাশিত ওজন কমে যাওয়া, এবং ঘাড় বা বাহুমূলের কাছে ত্বকে কালো দাগ দেখা দেওয়া।
ঝুঁকি কমাতে সচেতনতা ও জীবনযাপন পরিবর্তন
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে জীবনে ছোট ছোট পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যাদের পারিবারিক ইতিহাস, স্থূলতা বা মানসিক চাপের কারণে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি, তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। কম গ্লাইসেমিক খাবার, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা অন্যান্য ব্যায়াম, এবং শক্তিবর্ধক ব্যায়ামের মাধ্যমে টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখা সম্ভব। ভারতে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সক্রিয় উদ্যোগ প্রয়োজন, যা রোগের বিস্তার রোধ করতে সহায়ক হবে।