দেশ

ত্রিফলা ধাক্কায় সাত বছরে দেশে কর্মহারা কয়েক লক্ষ

Hundreds of thousands have lost their jobs in seven years due to Triphala shock

The Truth of Bengal: সাত বছরে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি গিয়েছে ১ কোটি ৬০ লক্ষ। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। এই সময়ে গোটা দেশে অসংগঠিত ক্ষেত্রে ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে ৬৩ লক্ষ সংস্থার। চাকরি গিয়েছে মোট ১ কোটি ৬০ লক্ষ। দেশের কাজের বাজারের এই হতাশাজনক চিত্রের পেছনে কারণ হিসেবে উঠে আসছে তিনটি বিষয়। নোট বাতিল, জিএসটি চালু ও অপরিকল্পিত কোভিড লকডাউনের কারণে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এত মানুষ চাকরি হারিয়েছে।

২০১৬ সালে মোদি সরকার নোট বাতিল করেছিল। আচমকা নোট বাতিলে বিরাট ধাক্কা নেমে এসেছিল দেশের অর্থনীতিতে। নগদের জোগানের অভাবে প্রচুর ছোট-মাঝারি শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে কাজ হারিয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ। এরপর ২০১৭ সালে জিএসটি চালু করে কেন্দ্রের সরকার। জিএসটি-র ও প্রভাব পড়ে দেশের ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে। তারপর এসেছিল সবচেয়ে বড় ফাঁড়া। ২০২০ সালে কোভিড অতিমারির পর আচমকা লকডাউন জারি করেছিল কেন্দ্র। ফলে রাতারাতি ঝাঁপ পড়ে যায় বহু সংস্থায়। কাজ হারাতে হয় লক্ষ লক্ষ মানুষকে।

এই ত্রিফলা ধাক্কায় অসংগঠিত ক্ষেত্রের মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। যার ফলে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ হারায়। যা উঠে এসেছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের রিপোর্টে। কেন্দ্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অসংগঠিত ক্ষেত্রের একাংশ সংগঠিত ক্ষেত্রের আওতায় এসেছে। এই পরিবর্তনে কেন্দ্রের কর সংগ্রহ বেড়েছে। তাতে সরকারের কোষাগার ভরছে ঠিকই কিন্তু অসংগঠিত ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে না।