রেস্টুরেন্টে যাচ্ছে কুকুরের মাংস! ঠকানো হচ্ছে ভোজনরসিকদের অভিযোগ পেয়ে মাংসের নমুনা পাঠানো হল ল্যাবে
Going to the restaurant dog meat! The meat samples were sent to the lab after receiving complaints from foodies being cheated

The Truth Of Bengal : রাজস্থান থেকে কুকুরের মাংস আনা হচ্ছে।আর সেই মাংস পরিবেশন করা হচ্ছে বেঙ্গালুরুর রেস্টুরেন্টে।চোরাপথে চলছে এই মারাত্মক কারবার। ট্রেনে করে রাজস্থান থেকে কর্ণাটকে কুকুরের মাংস আনার ঝোঁক বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ঘিরে দক্ষিণের অন্যতম রাজ্যে কর্ণাটকে তুলকালাম বেঁধেছে। যাঁরা হোটেল বা রেস্টুরেন্টে মাংস খেয়েছেন তারা এই ধরণের অভিযোগ নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করছেন। প্রতিবাদের ঝড় ওঠায়, অবস্থা বেগতিক বুঝে কর্ণাটকের পুলিশ অভিযান চালায়। রেল স্টেশন থেকে মেলা মাংসের নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। কোন কোন হোটেল বা রেস্টুরেন্টে এই কুকুরের মাংস পাঠানো হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে কংগ্রেস শাসিত সরকার। সেজন্য সমস্ত সংগৃহীত মাংস আসলে কুকুরের কিনা তা ল্যাবে পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অর্থাত্ মুনাফার লোভে এক শ্রেণির হোটেল বা রেস্টুরেন্টগুলো কুকুরের মাংসের কারবার ফেঁদে বসেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তার সত্যসন্ধানে নেমেছে সিদ্ধারামাইয়ার সরকার।
এবিষয়ে কর্ণাটকের খাদ্য নিরাপত্তা ও নিয়ামক সংস্থা বা এফএসএসএ –র কমিশনারেট স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য তুলে ধরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কিছু গ্রুপ হোটেল বা রেস্টুরেন্টে কুকুরের মাংস পরিবেশনের অভিযোগ করে।সেই অভিযোগ আদৌও সত্যি কিনা তা খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি সত্যিই এই ধরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়,তাহলে ভোজনালয়গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে এফএসএসএ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো এই ধরণের ঘটনা রুখতে কড়া শাস্তির দাবি তুলেছে।সংরক্ষণবাদী মানসিকতার নানা সংগঠন রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে।বসে নেই রাজ্য প্রশাসন।তারা ল্যাবের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দিকে এগোতে চায় বলে পরিষ্কার করে দিয়েছে।