সন্ত্রাসীরা সমাজকে বিভক্ত করতে চায় মন্তব্য রাহুল গান্ধীর
Former ISRO Chairman K Kasturi Rangan passes away

Truth of Bengal: পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার পর শুক্রবার শ্রীনগরে গেলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অর্থাৎ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানে গিয়ে তিনি সন্ত্রাসী হামলার জখম ব্যক্তির সাথেও দেখা করেন। এরপর শ্রীনগর থেকে রাহুল বলেন, “সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্য সমাজকে বিভক্ত করা । আমাদের কখনই উচিত নয় সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যকে সফল করা। যা কিছু ঘটেছে তার পেছনের উদ্দেশ্য হলো সমাজকে বিভক্ত করা। আমি আহতদের একজনের সাথে দেখা করে কথা বলেছি। সেই সাথে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং এলজি মনোজ সিনহার সাথেও দেখা হয়েছে। পাশাপাশি রাহুল গান্ধী আরও বলেন, আমি এখানে কী ঘটছে তা জানতে এসেছি। জম্মু ও কাশ্মীরের সকল মানুষ এই হামলার নিন্দা করেছেন । গোটা দেশের মানুষ তা সমর্থন করে। প্রতিটি ভারতীয় ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ান যাতে আমরা সন্ত্রাসীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে পারি।”
জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর নৃশংস জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন। কাশ্মীরের বইসরন উপত্যকায় লস্কর-ই-তোইবার একটি শাখা সংগঠনের জঙ্গিরা হঠাৎ গুলি চালায় নিরীহ পর্যটকদের উপর। ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’ নামে খ্যাত সেই মনোরম অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই।
এই ঘটনার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাহুল লিখেছিলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে পহেলগাঁওয়ের ভয়ংকর জঙ্গি হামলা নিয়ে কথা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির সম্পর্কে জেনেছি। এই ঘটনায় আক্রান্তদের পরিবারের বিচার পাওয়া কাম্য।‘ অন্যদিকে বুধবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের পহেলগাঁও ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।তখনই রাহুল গান্ধী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সরকার যা-ই পদক্ষেপ করুক, বিরোধী শিবির পূর্ণ সমর্থন জানাবে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব জম্মু ও কাশ্মীর শান্তি ফিরুক। এরপরেই শ্রীনগরে গেলেন রাহুল গান্ধী।”