দেশ

Big Breaking: দাউ দাউ করে জ্বলছে উত্তরাখণ্ডের জঙ্গল,আগুনের বলি ৫,বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা

Forests of Uttarakhand are burning, 5 victims of the fire, the death toll may increase

The Truth of Bengal: উত্তরাখণ্ডের জঙ্গলে  আগুন  নিয়ন্ত্রণে এল। এক সপ্তাহের ওপর  এই দাবানল ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি করে। জঙ্গলের আগুনে এরমধ্যে এক পৌঢ় সহ ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। আলমোড়া জেলায় একটি খামারবাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বিপদ হয়। গবাদি পশুদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পৌঢ়। আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে গিয়ে দগ্ধ হন বছর ৬৫-র পূজা নামের ওই নেপালি শ্রমিক। এছাড়াও দাবানলের কবলে পড়ে আরও ৪জনের  মৃত্যু হয়। ৫জনের মধ্যে ৪জনই নেপালি। এছাড়াও উত্তরাখণ্ড প্রশাসন জানিয়েছে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩০০হেক্টর জমি। জঙ্গলের বিভাগীয় কর্তা ধনঞ্জয় মোহন জানিয়েছেন,আগুন বহু চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।এখনও পর্যন্ত এই জঙ্গলে আগুন লাগানোর আশঙ্কায় ৩৮৮টি মামলা করা হয়েছে। ধনঞ্জয় মোহন আরও জানিয়েছেন,জঙ্গলের এই আগুন যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বনবিভাগের কর্মীরা যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে। গারোয়াল বিভাগে  ও আলমোরার একাংশ এই বনের আগুনে বিধ্বস্ত হয়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা

ধনঞ্জয় মোহন এই বনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়েছেন।তাঁর তরফে জানানো হয়েছে,যদি কোনও গাফিলতি দেখা যায় তাহলে তা সহ্য করা হবে না। এরমধ্যে ১৭ জন কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,১০কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।রাজ্যের এই ভয়বাহ অগ্নিকাণ্ডে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় চাপে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী,তিনি জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।আসন্ন বর্ষার মরসুমে যাতে  জঙ্গলে কোনরকম এই ধরণের ঘটনা না ঘটে তা   নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রশাসনিক তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি আশ্বস্ত করেন।  ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে তা দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সচিবদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন।

কেন উত্তরাখণ্ডে বারবার আগুন লাগছে ?

২০২৩-এর নভেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৯১০টি জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগই মানুষের তরফে লাগানো হয়েছে বলে সন্দেহ। নাশকতার আশঙ্কা জাগানো এই আগুনে বন দফতরের ১১৪৫ হেক্টর জমি নষ্ট হয়েছে।এবার এক সপ্তাহ আগে  উত্তরাখণ্ডের কয়েকটি জঙ্গলে আচমকাই আগুন লেগে যায়। সেই আগুন জঙ্গল এলাকা ছাড়িয়ে দ্রুত ছড়িয়ে যায় আশপাশে। জঙ্গল  থেকে  আগুন পৌঁছে যায় লোকালয়েও। কারও বাড়ি, কারও কারখানা এই আগুনের গ্রাসে পুড়ে ছাই হয়েছে।তাই অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত দাবি করেছেন জঙ্গলভূমি এলাকার মানুষ।  সুপ্রিমকোর্টের তরফে এবিষয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে,এই ধরণের আগুন লাগলে শুধু কৃত্রিম মেঘের ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না।

Related Articles