
The Truth of Bengal: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে সিকিমের পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। সিকিম নিয়ে শঙ্কা এখন দেশ জুড়ে। সিকিমে বেড়াতে গিয়ে বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন। দুর্গত এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ আটকে আছেন। উদ্ধারের কাজ শুরু হলেও প্রত্যন্ত এলাকায় সব মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর সংখ্যা একদিকে যেমন বাড়ছে পাশাপাশি বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে যাদের খোঁজ মেলেনি এখনও। উল্লেখ্য, মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি এবং লোনক হ্রদের বিপর্যয় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে বহু এলাকা। ভেঙে যায় বাঁধ। জলে তোড়ে ধ্বংস হয়ে যায় একটি সেনা ছাউনি। নিখোঁজ হন বহু সেনা জওয়ান।
ওই বিপর্যয়ের পর উদ্ধার কার্য শুরু করে এনডিআরএফ এবং সেনাবাহিনীর অনুসন্ধানকারী এবং উদ্ধারকারী দল। কুড়িটির বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা বহু। কয়েক হাজার পর্যটক বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ বাংলার। পর্যটকদের কিভাবে রাজ্যে পাঠানো যায় তা নিয়ে তৎপর প্রসাশন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রে পর্যটকদের না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিকিম সরকার। পাশাপাশি, ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সিকিমের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিধ্বস্ত এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্তত আড়াই হাজার মানুষকে। এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের মাঝে আতঙ্ক নতুন করে দেখা দিয়েছে। লাচেনের কাছে অপর একটি হ্রদ ফেটে যাওয়ায় নতুন করে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই হ্রদের আশপাশের মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট লোনক হ্রদ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলে আগেই সতর্কবার্তা জানিয়েছিল। এই সংস্থাটি উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে পুরো সিকিমে ৩২০টি হিমবাহ হ্রদের সন্ধান পায়। এর মধ্যে ১৪ টি বিপদজনক বলে উঠে আসে।
Free Access