দেশ

“পদোন্নতি পাওয়ার অধিকার নেই কর্মচারীর, তবে যোগ্য হলে বিবেচনা করতে হবে”: সুপ্রিম কোর্ট

"Employees do not have the right to be promoted, but if eligible, they must be considered": Supreme Court

Truth Of Bengal: পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো কর্মচারীর সরাসরি অধিকার না থাকলেও, তাঁকে ন্যায্যভাবে বিবেচনার অধিকার রয়েছে, এমন ঐতিহাসিক মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। তামিলনাড়ুর এক পুলিশ কনস্টেবলকে ২০১৯ সালে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা না করায় তাঁর পক্ষে এই রায় দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও কে. বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ জানায়, ২০০৫ সালে যেই বিভাগীয় শাস্তির কারণে তাঁকে অযোগ্য বলা হয়েছিল, সেটি ২০০৯ সালেই বাতিল হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তাঁকে পদোন্নতির প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত না করা অন্যায়।

এই রায়টি এসেছে তামিলনাড়ুর এক পুলিশ কনস্টেবলের আপিলের প্রেক্ষিতে, যিনি সাব-ইনস্পেক্টর পদে পদোন্নতির সুযোগ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালত জানায়, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্য এক সহকর্মীকে মারধরের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। ওই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি মামলা হয়। যদিও ফৌজদারি মামলায় তিনি গ্রেফতার হলেও পরে বেকসুর খালাস পান। অন্যদিকে, বিভাগীয় শাস্তি ২০০৯ সালে সরকার বাতিল করে দেয়।

তবে, জেলা পুলিশ সুপার দাবি করেন, ২০০৫ সালে তাঁর ওপর এক বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধির স্থগিতাদেশ আরোপ করা হয়েছিল বলেই তাঁকে পদোন্নতির জন্য অযোগ্য বিবেচনা করা হয়। কিন্তু আদালত জানায়, ২০০৯ সালেই সেই শাস্তি বাতিল করা হয়েছিল, ফলে ২০১৯ সালে তাঁকে বিবেচনার বাইরে রাখা অন্যায়।

বেঞ্চ বলেছে, “এই পরিস্থিতিতে, আবেদনকারীকে ২০১৯ সালে পদোন্নতির জন্য অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে, বয়সের অজুহাতে বাদ দেওয়া উচিত নয়।” আদালত নির্দেশ দেয়, তাঁকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করে যোগ্য বলে মনে হলে ২০১৯ সাল থেকেই পদোন্নতি দিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আর্থিক সুবিধাও দিতে হবে, কারণ এটি তাঁর কোনো দোষের কারণে হয়নি বরং কর্তৃপক্ষের ভুল ছিল।

এই রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট মাদ্রাজ হাইকোর্টের ২০২৩ সালের অক্টোবরে দেওয়া আদেশ খারিজ করে দেয়, যেখানে তাঁর আবেদন নাকচ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, আবেদনকারী ২০০২ সালের মার্চে কনস্টেবল পদে নিযুক্ত হন এবং ২০১৯ সালে যখন ২০% বিভাগীয় কোটা অনুযায়ী পদোন্নতির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, তখন তিনি যোগ্য ছিলেন।

Related Articles