কমিশনের নজরে ভোট প্রচার, মানতে হবে নির্দেশিকা, নিয়ম না মানলে বাতিল হতে পারে রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি
Election Commission observers will follow the guidelines for campaigning

The Truth Of Bengal : নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। দেশে সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ১৯ এপ্রিল। গোটা দেশ জুড়ে রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির তারকা প্রচারকের তালিকাও একপ্রকার তৈরি। জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সমর্থন আদায়ের জন্য সব রাজনৈতিক দল প্রচারে তারকাদের মাঠে নামায়। তবে এবার অতি সাবধানী হতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। দলের বক্তাদের বিশেষ করে তারকা প্রচারকদের বক্তব্য এবার ‘ছাকনি’ করবে নির্বাচন কমিশন। নির্দিষ্ট নির্দেশিকার বাইরে কোন বক্তব্য রাখলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে কমিশন। গত ১ মার্চ নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল কমিশন। সেই নির্দেশিকা ভাঙলে রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি বা প্রতীক কেড়ে নিতে পারে কমিশন। কী বলা আছে ওই নির্দেশিকায়?
- ভোট প্রচারে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত আসে। বিভিন্ন সম্প্রদায় মধ্যে অশান্তি বা হিংসা ছড়ায় এমন কোন বক্তব্য বা আচরণ করতে পারবেন না বক্তারা।
- নির্বাচনী প্রচারে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে পারবেন না বক্তারা। বিপক্ষ দলের নীতি ও কার্যকলাপের ওপর সমালোচনা করতে পারেন।
- ভুয়ো তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে বক্তাদের। ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে পারবেন না বক্তারা।
- ধর্মীয় স্থানকে কোনোভাবেই ভোটের প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না। ভোটের প্রচারে ধর্মীয় আবেগগেও কাজে লাগাতে পারবেন না বক্তারা।
- নির্বাচনী প্রচারে বক্তাদের মাথায় রাখতে হবে কোনভাবে মহিলাদের যেন অসম্মান না হয়। এমন কোন বক্তব্য কমিশন মান্যতা দেবে না যেখানে নারীদের অসম্মান করা হয়েছে। নারীদের সম্মান ও মর্যাদার উপর খেয়াল রাখতে হবে বক্তব্যের মধ্যে।
- রাজনৈতিক দলগুলোকে মাথায় রাখতে হবে কোনোভাবে সংবাদমাধ্যমে যেন ভুয়ো ও ভিত্তিহীন বিজ্ঞাপন প্রচার করা না হয়।
- আপত্তিকর ও রুচিহীন পোস্ট করা যাবে না সামাজিক মাধ্যমে।
- আসলে যা বিজ্ঞাপন তা কোনোভাবে খবরের মোড়কে প্রচার করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। কড়া নির্দেশিকা।
প্রত্যেকটি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা নজরদারি চালাবেন। নির্দেশিকা মান্যতা না পেলে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কমিশন। সেক্ষেত্রে সেই রাজনৈতিক দলের প্রতীক ‘ফ্রিজ’ করে দিতে পারে কমিশন। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে কমিশন। ভোট প্রচারে যাদের বক্তা হিসেবে রাখবে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের এই নির্দেশিকা গুলো ভালো করে বুঝিয়ে দিতে হবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। শুধু বাজার গরম করার জন্য ও ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য কমিশনের দেওয়া নির্দেশিকার বাইরে কোন বক্তব্য রাখলে রেয়াত করবে না কমিশন।
FREE ACCESS