
The Truth Of Bengal : হায়দ্রাবাদের তিরুপতি চিড়িয়াখানায় সিংহর সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ বছর বয়সের প্রহ্লাদ গুজ্জরের। সেই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে আদেও রাজস্থানের প্রহ্লাদ মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা।
১৯৯৬ সালে হওয়া কলকাতা আলিপুর চিড়িয়াখানার সেই মর্মান্তিক ঘটনার কথা আবারও একবার মনে করিয়ে দিল হায়দ্রাবাদের তিরুপতি চিড়িয়াখানা। সিংহের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে অকালে প্রাণ যায় এক যুবকের। জানা গেছে মৃত ওই ব্যক্তির নাম প্রহ্লাদ গুজ্জর। তার বয়েস মাত্র ৩৮ বছর। রাজস্থানের আলওয়ারের বাসিন্দা প্রহ্লাদ। তিনি একাই গিয়েছিলেন চিড়িয়াখানা ঘুরতে। তার সখ ছিল সিংহের সঙ্গে একাকী ছবি তোলার। আর ব্যস সেই ছবি তুলতে গিয়েই ঘটে গেল বিপত্তি। জঙ্গলের রাজা বলে কথা। তাকে চটালে কেউ রক্ষে পাবেনা সেটাই তো স্বাভাবিক। প্রহ্লাদ যখন সিংহের খাঁচায় ঢোকার চেষ্টা করছিলেন সেই সময় চিড়িয়াখানা রক্ষণাবেক্ষণের কর্মীরা তাকে আটকানোর প্রাণপণ চেষ্টা করে। যদিও সেই ব্যক্তি তাদের কথা তোয়াক্কা না করেই ২৫ ফুট উঁচু কাঁটা তারের ব্যারিকেট টপকে খাঁচার মধ্যে ঢুকে সিংহর কাছে গিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রহ্লাদের রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় খাঁচার ভিতর থেকে।
পুলিশ সূত্রে খবর প্রহ্লাদের মৃতদেহ ময়ানাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিল কিনা তা জানতেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। চিড়িয়াখানা কতৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে সিংহ টিকে আলাদা খাঁচায় রাখা রয়েছে। এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বহু বছর আগে সেই শিবার কথা মনে করিয়ে দিল প্রহ্লাদ। ১৯৯৬ সালে আলিপুর চিড়িয়াখানায় মদ্যপ অবস্থায় তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার শিবার খাঁচায় ঢুকে মালা পড়ানোর চেষ্টা করে। আর তখনই ঘাড়ে কামড় বসায় শিবা।
FREE ACCESS