দেশ

‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ নিয়ে দারুল উলুম দেওবন্দ-এর বক্তব্যে বিতর্ক, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

Darul Uloom Deoband

The Truth of Bengal: গাজওয়াতুল হিন্দকে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ বলে দাবি করেছে দারুল উলুম দেওবন্দ। দেশের অন্যতম বৃহত্তম ইসলামি মাদ্রাসা গাজওয়াতুল হিন্দ-এর ধারণাকে বৈধতা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করেছে বলে জানা গিয়েছে। সংস্থার ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, এই অভিযান ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ। গাজওয়াতুল হিন্দ-এ যারা শহিদ হবেন, তারা হবেন মহান শহিদ। এই মনোভাবকে দেশবিরোধী বলে অভিহিত করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। বিষয়টি নিয়ে সাহারানপুরের ডিএম এবং এসএসপি-কে এফআইআর দায়ের করতে বলেছে।

এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো জানান, দারুল উলুম দেওবন্দে শেখানো হচ্ছে কীভাবে ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ করতে হয়। যিনি গাজওয়াতুল হিন্দের জন্য নিজের জীবন দান করেন, তাঁকে সর্বোচ্চ শহিদ বলা হবে। এই সংস্থা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করে। শিশুদের এইভাবে শিক্ষা দেওয়া খুবই বিপজ্জনক। জেলা প্রশাসনকে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে।

বিতর্কের সূত্রপাত কোথায়? গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে অনলাইনে দারুল উলুমের কাছে তথ্য চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি জানতে চেয়েছিলেন যে, হাদিসে এর কোনও উল্লেখ আছে কি না? জবাবে, দারুল উলুম দেওবন্দ গাজওয়াতুল হিন্দকে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ বলে দাবি করেছে। গাজওয়াতুল হিন্দ হল একটি ভবিষ্যদ্বাণী। একটি যুদ্ধের কথা হয়েছে। উপমহাদেশে হওয়া সেই যুদ্ধে শহিদদের মহান আখ্যা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও সংখ্যালঘু সমাজে এই তত্ত্ব নিয়ে আবার ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ আছে।