দেশ

মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন চম্পাই সোরেন, কুর্সিতে ফিরছেন হেমন্ত

Champai Soren resigned from the post of Chief Minister, Hemant is returning to the chair

The Truth Of Bengal: আজ বুধবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন চম্পাই সোরেন। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা ও বিধায়করা। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। হেমন্ত সোরেনও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ইস্তফা দেওয়ার পর চম্পাই সোরেন বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। হেমন্ত সোরেন ফিরে আসার পর আমাদের জোট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরবেন। আমরা হেমন্ত সোরেনকে আমাদের নেতা হিসাবে বেছে নিয়েছি। এখন আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।‘

কয়েকদিন আগে জেলমুক্তি হয়েছে হেমন্তর। তিনি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পর ঝাড়খণ্ডের প্রশাসনিক কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেন চম্পাই সোরেন। পরপর তাঁর বেশ কয়েকটি কর্মসূচি বাতিল করা হয়। ফলে রাজনৈতিক মহল মনে করছিলে, এবার যে কোনও সময় মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরতে পারেন হেমন্ত।

জমি দুর্নীতি মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি ইডির হাতে গ্রেফতর হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। কংগ্রেস, আরজেডি ও অন্যান্য জোটসঙ্গীদের মত নিয়ে প্রবীণ চম্পাই সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়। হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই সেই চেয়ারে বসেন চম্পাই। এবার আবার একবার পালা বদল হতে চলেছে ঝাড়খণ্ডে।

গত ২৮ জুন জামিন পেয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। পাঁচ মাস আগে ৩১ জানুয়ারি জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতা তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাঁচ মাস জেলে কাটিয়ে তিনি জামিনে মুক্ত হতে চলেছেন। রাঁচিতে ৮.৮৬ একর জমি বেআইনি ভাবে দখল করার অভিযোগ রয়েছে হেমন্তের বিরুদ্ধে। জমি দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে যাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন সোরেন। তারপর থেকে একাধিকবার তাঁর মামলার শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে কোর্টের কাছে তাঁর আর্জি ছিল, প্রচারের জন্য তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক। কিন্তু প্রতিবার তাঁর আর্জি নাকচ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

 

Related Articles