দেশ

চন্দ্রযান-৫-এর অনুমোদন দিল কেন্দ্র, চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি ইসরোর

Centre approves Chandrayaan-5, ISRO prepares to go to the moon

Truth Of Bengal: মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছে ভারত। চন্দ্রযান-৫ অভিযানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র পেয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। সোমবার ইসরো প্রধান ভি নারায়ণন এই তথ্য জানিয়েছেন। এই অনুমোদন ভারতের চাঁদ নিয়ে গবেষণার স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিল। দেশটির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানো, আর চন্দ্রযান-৫ সেই লক্ষ্যেরই অংশ।

চন্দ্রযান-৩-এর সফল অভিযানের পর, চন্দ্রযান-৪-এর জন্যও অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। এবার চন্দ্রযান-৫-এর অনুমোদন মেলায় ইসরো তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

ভারত প্রথম ২০০৮ সালে চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণ করেছিল, যা চাঁদের রাসায়নিক ও খনিজ বিশ্লেষণ করেছিল। এরপর চন্দ্রযান-২ পাঠানো হয়, যা আংশিক সফল হয়। তবে এর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ছবি পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল। চন্দ্রযান-৩ অভিযানের মাধ্যমে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করে বিশ্বের নজর কাড়ে।

ইসরো ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-৪-এর জন্য কাজ শুরু করেছে, যার উৎক্ষেপণ হবে ২০২৭ সালে। এবার চন্দ্রযান-৫-এর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চন্দ্রযান-৫ অভিযানের রোভার আগের তুলনায় ১০ গুণ ভারী। যেখানে চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞানের ওজন ছিল ২৫ কেজি, সেখানে চন্দ্রযান-৫-এর রোভার হবে ২৫০ কেজি।

চন্দ্রযান-৫ মিশনের মাধ্যমে ইসরো আরও উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চালাবে। চাঁদের পৃষ্ঠে আরও বিশদ অনুসন্ধান করা হবে, যা ভবিষ্যতে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার পথ প্রশস্ত করতে পারে। ভারতের মহাকাশ গবেষণা একের পর এক সাফল্যের মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো একের পর এক সাফল্য অর্জন করে বিশ্ব মহাকাশ গবেষণায় নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করছে। চন্দ্রযান-৫ এর সাফল্য ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে ভারতীয় নভোচারীদের পাঠানোর লক্ষ্য পূরণের পথ সুগম করবে।

Related Articles