অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরোধীদের দাবিতে জল ঢালল কেন্দ্র

Truth Of Bengal: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার পর সেনাবাহিনীর চালানো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি তুলেছিল বিরোধী শিবিরের দলগুলি। আর এবার সেই দাবি আপাতত খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আসন্ন জুলাই মাসেই শুরু হতে চলেছে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন। ফলে তার আগে কোনও পৃথক বিশেষ অধিবেশন ডাকার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখান থেকেই স্পষ্ট যে বিরোধীদের দাবিতে বিশেষ কর্ণপাত করতে বাধ্য নয় কেন্দ্র।

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। সেই  মর্মান্তিক ঘটনার বদলা নিতে ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে হামলা চালায় ভারত। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। যার জেরে দুই দেশের সামরিক উত্তেজনা চরম আকার নেয়। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ একাধিক বিরোধী নেতা অপারেশন সিঁদুর, পহেলগাঁও হামলা, রাজৌরি, পুঞ্চ, উরি, কুপওয়ারায় নাগরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানান। এই দাবি প্রথম তুলেছিলেন প্রবীণ আইনজীবী ও রাজ্যসভার সদস্য কপিল সিব্বল। পরে তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি (আপ)-ও এই দাবিতে সরব হয় এবং কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে।

ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে বিতর্কের পরে এই প্রথমবারের মতো বিরোধীরা একত্রিত হয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে জবাবদিহি চাইছিল। তবে সরকারি সূত্র বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনই সংসদের সূচি ও গঠনও একটি সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে চলে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বর্ষাকালীন অধিবেশনেই পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হতে পারে, তার জন্য আলাদা কোনও বিশেষ অধিবেশনের প্রয়োজন নেই। অপারেশন সিঁদুর ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ যতই বাড়ুক না কেন, আপাতত কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট—আলোচনা হবে, তবে নির্ধারিত সময়েই।