বন্ধ গোলাবর্ষণ! অশান্তির পর প্রথম শান্তির রাত দেখল সীমান্ত
Ceasefire! Border sees first peaceful night after unrest

Truth Of Bengal: পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই অশান্ত হয়ে উঠেছিল উপত্যকা। লাগাতার চলছিল গোলাবর্ষণ। ভারতের তরফে দেওয়া হয় পাল্টা জবাব। সংঘর্ষবিরতির পরও অশান্ত হয় একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকা। তবে রবিবার ‘শান্ত’ রাত কাটল জম্মু কাশ্মীর। নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে শোনা যায়নি গুলির শব্দ। সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে আসেনি গোলা।
সেইসঙ্গে কাশ্মীর উপত্যকায় কোনও ব্ল্যাকআউটও হয়নি। এই প্রসঙ্গে সোমবার প্রতিরক্ষা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বর্টওয়াল জানিয়েছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে একটি শান্তিপূর্ণ রাত কেটেছে। কোন গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। রাজৌরি, পুঞ্চ, আখনুর-সহ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জায়গাগুলিতে প্রথম কোনও অশান্তির আঁচ টের পাওয়া যায়নি।’ তবে সুরক্ষার খাতিরে সোমবার পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। একথায় বলা যায়, একেবারে অন্য চেহারা নিয়েছে জম্মু- কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
উল্লেখ্য, সংঘর্ষবিরতি শুরু হওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যে বারবার সীমান্তের ওপার থেকে পাক সেনার উসকানি ছিল, আক্রমণের চেষ্টাও হয়েছে, তবে ভারতীয় সেনার সজাগ, সতর্ক দৃষ্টি সবই বানচাল করে দিয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে বদলাতে চলেছিল উপত্যকার চিত্র।১৯ দিন পর নির্বিঘ্নে রাত কাটালেন বাসিন্দারা। সকালও শুরু হল চেনা ছন্দে। অনেকদিন পর ঝকঝকে, ভয়মুক্ত পরিবেশ দেখে ঘুম ভেঙেছে সীমান্তের মানুষদের।
শুধু কাশ্মীরই নয়, পাঞ্জাব, রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেও একই ছবি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পাঠানকোটের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধ তো কোনও সমাধান নয়। সংঘর্ষবিরতির পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে উপত্যকা।আশা করি, এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে।’ অন্যদিকে রাজস্থানের এক বাসিন্দার গলাতেও শোনা গেল একই কথা। তিনি বলেন, ‘দোকানপাট খুলেছে, দিনের বেলাটা নিশ্চিন্তেই কাটছে। দৈনন্দিন জীবন আগের মত চলছে।’ তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সীমান্তে এখনও কড়া প্রহরা।