ঝাড়খণ্ডের মতো দরিদ্র রাজ্যের পিঠ ভেঙে দিয়েছে বিজেপি: সোরেন
BJP has broken the back of a poor state like Jharkhand: Soren

Truth of Bengal: আসন্ন ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। আর বিভিন্ন দলের সেই প্রচারকে ঘিরে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। বিভিন্ন দলের মধ্যে দফায় দফায় হামলা-পালটা হামলা চলছে। একদিকে যখন গেরুয়া শিবির অনুপ্রবেশ নিয়ে রাজ্যের শাসক শিবিরকে আক্রমণ করছে, তখন বিজেপিকে বিঁধেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সোরেন বলেছেন, বিজেপি দুই দশক ধরে ঝাড়খণ্ডকে লেবুর মতো কচলেছে, এখন এটি বন্ধ করতে হবে। শুধু তাই নয়, সোরেন জিএসটি কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডের মতো দরিদ্র রাজ্যের পিঠ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
সোরেন বলেন, বিজেপি ঝাড়খণ্ডকে ২০ বছর ধরে লেবুর মতো চেপে রেখেছে, কিন্তু এটা বন্ধ করতে হবে। যে গরু থেকে আমরা দুধ নেই, তাকেও আমরা খাওয়াই। তারা (বিজেপি) ঝাড়খণ্ডের সম্পদ কমিয়ে দিয়েছে। এটা সেই ঝাড়খণ্ডের দ্বন্দ্ব। খনিজ সম্পদে শীর্ষস্থানীয় অথচ দরিদ্রতম রাজ্য।
সেই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কয়লা, লোহা, মাইকা এবং ডলোমাইটের মতো খনিজ সমৃদ্ধ, কিন্তু কেন্দ্রের জিএসটি আমাদের রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। আমাদের আর্থিক প্রয়োজনের জন্য কেন্দ্র কিছুই করেনি। আমরা যদি কেন্দ্র থেকে ১.৩৬ লক্ষ কোটি টাকার কয়লা বকেয়া না পাই, তবে আমরা জানি কীভাবে তা পুনরুদ্ধার করা যায়।
সোরেন বলেন, বিজেপি সব জায়গায় শুধু ডাবল ইঞ্জিনের সরকার চায়। পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে বিধায়ক, সাংসদ কেনা এবং সরকার পতনে বিশেষজ্ঞ বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি ভারতের ফেডারেল কাঠামো ধ্বংস করতে আগ্রহী এবং সর্বত্র ডাবল ইঞ্জিন সরকারে বিশ্বাস করে।
হেমন্ত সোরেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে মেরুকরণের রাজনীতির জন্য বিজেপিকেও অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণ, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, বিভাজনের রাজনীতি ছাড়া দলটির কোনও এজেন্ডা নেই। বিজেপি রাজ্যের বিভেদমূলক রাজনীতিকে অগ্রগতি লাইনচ্যুত করতে দেবে না। সেই জন্যই বিজেপি উপজাতীয় মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর মেয়াদ শেষ করতে দিতে চায়নি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের আগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, কারণ বিজেপি সহ্য করতে পারে না যে একজন আদিবাসী তার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করবে।