দেশ

বিতর্কিত জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ বিহারে, এটি ‘আইওয়াশ’ মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

এই রিপোর্ট রাজ্যের সমস্ত সম্প্রদায়ের উন্নতিতে সাহায্য করবে

The Truth of Bengal– যে কারণে, জাতীয় জনগণনা এখনও করতে পারেনি কেন্দ্র, চব্বিশে লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই কাজটাই করলেন বিহারের নীতীশ কুমারের সরকার। গান্ধী জয়ন্তীর দিনে প্রকাশ করা হল জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্ট।

সোমবার বিহারের মুখ্য সচিব প্রকাশ করেন বিহারের জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্ট। সরকারের দাবি, এর মাধ্যমে রাজ্যের উচ্চ বর্ণ থেকে নিম্ন বর্ণসহ, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রকাশ্যে এলো। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, এই রিপোর্ট রাজ্যের সমস্ত সম্প্রদায়ের উন্নতিতে সাহায্য করবে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব জানিয়েছেন, এটা গোটা দেশের কাছে নজির হয়ে উঠল এবং অন্যান্য রাজ্যও একই পথে হাঁটবে বলে মনে করেন তিনি।

বিহারে প্রকাশিত জাতিগত সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, বিহারে মোট জনগণ রয়েছে ১৩ কোটির বেশি। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশ অতিরিক্ত অনগ্রসর শ্রেণি, ২৭ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি।  এছাড়া ১৯ শতাংশ তপশিলি জাতি এবং ১.৬৮ শতাংশ তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের। আর মোট জনগণের মাত্র ১৫.৫২ শতাংশ সাবর্ণ বা উচ্চ সম্প্রদায়ভুক্ত। এছাড়া ভূমিহার ২.৮৬ শতাংশ, ব্রাহ্মণ ৩.৬৬ শতাংশ, কুর্মি ২.৮৭ শতাংশ, মুসাহার ৩ শতাংশ এবং যাদব সম্প্রদায়ভুক্ত রয়েছে ১৪ শতাংশ।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সামাজিকভাবে ন্যায়বিচারের জন্য জাতিগত সমীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। সেই জন্যই জাতিগত সমীক্ষা করতে উদ্যোগী হন তিনি। এর বিরোধিতা করে পটনা হাইকোর্টে মামলাও হয়েছিল। পটনা হাইকোর্ট এই সমীক্ষায় অনুমতি দিলেও বেশ কিছু সংস্থা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শীর্ষ আদালতও জাতিগত সমীক্ষার পক্ষে রায় দেয়। গত অগাস্টে জাতিগত সমীক্ষা সম্পূর্ণ করা হয়।

বিহারের জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশের পরেই মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি জানিয়েছেন, এই রিপোর্ট কেবল ‘আইওয়াশ’। এর বদলে নীতীশ সরকারের ১৮ বছরের শাসনকালের এবং লালু প্রসাদ যাদবের ১৫ বছরের শাসনকালে রাজ্যের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।