রমরমিয়ে আন্তঃরাজ্য ‘সেক্স র্যাকেট’, চুনোপুটি নয়, পুলিশি অভিযানে ধরা পড়ল ‘রাঘববোয়াল’রা
A sex racket was going on, then the government officer was caught by the police

The Truth Of Bengal : রমরমিয়ে চলছিল আন্তঃরাজ্য ‘সেক্স র্যাকেট। অনেকদিন ধরেই খবর আসছিল পুলিশের কাছে। আটঘাঁট বেধে অভিযানে নামে পুলিশ। আর তারপর পুলিশ জলে ধরা পড়লো একাধিক রাঘববোয়াল। খোদ সরকারি কর্মকর্তা। আবার ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের একজন আধিকারিকও। ধৃতদের মধ্যে আছেন স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্তাও। ঘটনাটি অরুনাচল প্রদেশের রাজধানী শহর ইটানগরের। ইটানগরের পুলিশ সুপার রোহিত রাজবীর সিং জানিয়েছেন একটি বিউটি পার্লারের আড়ালে এই ‘সেক্স র্যাকেট পরিচালিত হত। দুই বোন এই পার্লারটি পরিচালনা করত। সেখানে শুধু অরুণাচল প্রদেশের মেয়েদের নয় প্রতিবেশী রাজ্য অসম থেকেও মেয়েদের নিয়ে আসা হতো দেহ ব্যবসার জন্য।
এই দেহ ব্যবসায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাবালিকাদের কাজে লাগানো হতো। এরকমই অসমের ধোমজি এলাকা থেকে অনেক নাবালিকাদের এই কাজে নামানো হয়েছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের পাচার করে নিয়ে আসা হয়। শুধু ওই বিউটি পার্লারে নয়, ওই দুই মহিলার বাড়িতে এবং বিভিন্ন হোটেলে এই চক্র রমরমিয়ে চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ একই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পুলিশের জালে ধরা পড়ে ২১ জন। ধৃতদের মধ্যে যেমন অনেক নাবালিকা রয়েছে, পাশাপাশি চক্রের পান্ডারাও রয়েছে। এই পাণ্ডাদের মধ্যেই এক পুলিশ আধিকারিক ও এক স্বাস্থ্যকর্তা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকাদের পাচার করে নিয়ে আসার পর তাদের জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো হতো। একপ্রকার বাধ্য করা হতো তাদেরকে দেহ ব্যবসায় নামতে। কেউ রাজি না হলে তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হতো। পুলিশের শীর্ষ কর্তারা এই ঘটনার যেমন তদন্ত করছেন পাশাপাশি ইটানগর মহিলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক নাবালিকা পাচার হয়েছে এই চক্রের হাত ধরে। এবং তাদের নামানো হয় দেহ ব্যবসায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ৫ জন সরকারি কর্মকর্তা ও ১১ জন গ্রাহক। এই অভিযানে বেশ কয়েকজন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে হোমে পাঠানো হয়েছে।