
Truth of Bengal: লখনউয়ের কৃষ্ণনগরে ১৫ বছরের এক কিশোরী নিজের মাকে বাধা হিসেবে দেখে এক অদ্ভুত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। সে মায়ের খাবারে তিন মাস ধরে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে গভীর ঘুমে রেখে ইনস্টাগ্রামে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলত। দিনের পর দিন এই চলার ফলে মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।
মেয়েটি জানায়, মা তাকে ইনস্টাগ্রামে ছেলের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দিয়েছিলেন এবং মোবাইল ব্যবহারে সীমা আরোপ করেছিলেন। এই কারণে কিশোরী প্রতিদিন মায়ের খাবারে তিন থেকে চারটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিত। মাকে গভীর ঘুমে রেখে সে দিনরাত ইনস্টাগ্রামে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলত।
মায়ের শরীরে ক্রমাগত দুর্বলতা, ক্লান্তি, এবং অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা দেখা দিলে পরিবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন যে মহিলার শরীরে ঘুমের ওষুধের মাত্রা অনেক বেশি, অথচ তিনি নিজে কোনোদিন এমন ওষুধ খাননি।
পরিবারের কড়া জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী তার কৃতকর্ম স্বীকার করে। এরপর পরিবার তাকে লোকবন্ধু হাসপাতালের কাউন্সেলিং সেন্টারে নিয়ে যায়।
লোকবন্ধু হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সেন্টারের ম্যানেজার অর্চনা সিং জানান, ইনস্টাগ্রামে ছেলেটি কিশোরীকে ভুল পথে পরিচালিত করেছিল। বর্তমানে মেয়েটির কাউন্সেলিং চলছে, যাতে সে সঠিক পথে ফিরে আসতে পারে।
এই ঘটনা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরে। কিশোর-কিশোরীদের সঠিকভাবে নির্দেশনা ও সংযোগ রাখতে পারিবারিক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।