মাঝরাতে গ্রেফতার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু
Chandrababu Naidu Arrested

The Truth of Bengal: আশঙ্কা সত্যি হল। সিআইডির হাতে গ্রেফতার হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৭১ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও চন্দ্রবাবু নাইডুর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করা হয়েছে।
গ্রেফতার চন্দ্রবাবু নাইডু
অন্ধ্রপ্রদেশকে এক নতুন শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি নিজেকে কখনও রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রকাশ করেননি। বরং তিনি নিজেকে বলতেন রাজ্যের সিইও। অর্থাৎ একটি বড় কোম্পানি ঠিক যে পদ্ধতিতে তার সংস্থার উন্নয়নকে একটি শিখরে নিয়ে যায়। সেই একই কায়দায় রাজ্যকে নতুন কৌশলে পরিচালনা করে শহর হায়দরাবাদকে এক নয়া উড়ান দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক জাবনে তাঁর ভাবমূর্তি ছিল বরাবরই স্বচ্ছ। এবার তাঁর নাম জড়াল কেলেঙ্কারিতে। শনিবার ভোরে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাঁর সমর্থকদের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয় সিডিআইডি অফিসারদের। টিডিপি বা তেলেগু দেশম পার্টির তরফে জানানো হয়েছে দুর্নীতির সঙ্গে চন্দ্রবাবু নাইডুর কোনও যোগ নেই। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সব অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন। যদিও ৩৭১ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় তাঁর নাম রয়েছে এক নম্বরে।
কোন মামলায় গ্রেফতার করা হল চন্দ্রবাবুকে?
সিআইডি সূত্রের খবর, ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট স্ক্যাম।’ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুকে। গ্রেফতারির পর তাঁর আইনজীবীকে এফআইআর-এর কপি দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রবাবুর আইজীবীর দাবি, এফআইআরে চন্দ্রবাবুর নাম নেই। এবং তথ্য প্রমাণ তুলে আনা হোক।
‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট স্ক্যাম’ কী?
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান ও অন্ধ্রপ্রদেশের প্রধান বিরোধীদলনেতা চন্দ্রবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তৈরি হয়েছিল অন্ধ্র প্রদেশ স্টেট স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। রাজ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য তৈরি হয় এই সংস্থা। সেই সময় একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও করে তৎকালীন টিডিপি নেতৃত্বাধীন সরকার। অভিযোগ ওঠে ওই কর্পোরেশনেই বিপুল অঙ্কের টাকার দুর্নীতি হয়েছে। চলতি বছরের গত মার্চ মাস থেকে সেই কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
সূত্রের খবর, সিমেন্স ইন্ডাস্ট্রি সফটওয়্যার-কে বলা হয়েছিল রাজ্য জুড়ে তারা ৭টি সেন্টার তৈরি করতে। সেই সেন্টারগুলিতে বেকার যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চুক্তি হয় রাজ্য সরকার মোট খরচের ১০ শতাংশ টাকা দেবে, এবং বাকি টাকা খরচ করতে হবে ওই বেসরকারি সংস্থাকে। পরে দেখা যায়, এই প্রকল্পের জন্য মন্ত্রিসভা থেকে কোনও অনুমোদনই নেওয়া হয়নি। দেখা যায়, সিমেন্স ইন্ডাস্ট্রিস নামে ওই বেসরকারি কোম্পানি কিছুই বিনিয়োগ করেনি। বরং তৎকালীন রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য যে ৩৭১ কোটি টাকা খরচ করেছিল, তা বেআইনি ভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছিল বিভিন্ন শেল কোম্পানিতে। এমনকী এই কাজের জন্য সরকারি বিধি মেনে টেন্ডারও ডাকা হয়নি। এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত রয়েছে সিমেন্সের এক প্রোজেক্ট ম্যানেজারও।