ফিচার
Trending

ভারত জুড়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে পালিত হয় নববর্ষ, জানুন নববর্ষের নানা রুপ

Poila Baishak is celebrated in different ways across India

The Truth Of Bengal : বাঙালির নববর্ষ পয়লা বৈশাখ উদযাপন যেমন খাওয়া দাওয়া, নতুন জামাকাপড় পরা, দেদার হৈ-হুল্লোড় ছাড়া ফিকে তেমনই দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও নানান রীতি রেওয়াজের মধ্যে দিয়ে তাঁদের নিজস্ব আঙ্গিকে নববর্ষ পালন করেন। চৈত্র মাসের পয়লা তারিখে মরাঠিরা নববর্ষ বা গুড়ি পাড়োয়া উদযাপন করেন । গুড়ি বা উজ্জ্বল রঙের এক টুকরো কাপড় বা সিল্কের শাড়ি একটা লাঠির মাথায় বেঁধে তার ওপর লোটা বা মাটি বা তামার পাত্র উল্টো করে চাপিয়ে দেওয়া হয়। এর ওপর দেওয়া হয় মিষ্টি ও নিম ও আমপাতার তৈরি মালা।

মনে করা হয় ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ গুড়ি পাড়োয়ার প্রচলন শুরু করেন। গুড়ি পাড়োয়াতে খাওয়া হয় পুরান পুলি, শ্রীখণ্ড, কোঠিমবীর বড়ি, নারকেল নাড়ুর মতো সুস্বাদু ট্রাডিশনাল খাবার। পঞ্জাবীদের নববর্ষ হল বৈশাখী। এদিন শিখ ধর্মাবলম্বীরা গুরদোয়ারায় যায়। লঙ্গরখানায় গরিবদের খাবার বিতরণ করা হয়। গিড্ডা ও ভাংরা নাচে গানে অংশ নেন অনেকে। খাওয়া হয় লস্যি, খীর, পনির জালেবি, মক্কি দি রোটি, সারসো কা সাগের মতো খানা। ফসল তোলার সময়কে বিহু উৎসবের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয় অসমে। ঐতিহ্যবাহী মেখলা পোশাক পরেন মহিলারা। গবাদি পশুদের গা ধোওয়ানো হয়। চিঁড়ে, পিঠে, মাছের টেঙ্গার মতো খাবার খাওয়া হয়।

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নববর্ষকে নভরেহ বলা হয়। একটা থালায় গোটা আমন্ড বাদাম, আখরোট, চিনি, নুন, চাল, ফুল, ক্যালেন্ডার, আয়না, দই, রুটি, কিছু মশলাপাতি, অল্প ভাত, দোয়াত কলম সাজিয়ে রাখা হয় আগের দিন রাতে। নববর্ষের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে ওই থালাকে দর্শন করা হয়। এই আচারকে বলা হয় থাল ভারুন। রুটি আর চাল পাখিদের খাওয়ানো হয়।

Related Articles